১৮ অক্টোবর, ২০২১

আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না

আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না




আওয়ামীলীগ সরকার দেশে নাকি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আই এস, জামাত শিবির, বি এন পি, এবং পাকিস্তানি রাজাকার নাকি এদের শান্তি শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটায়। দেশের উন্নতি নাকি এরা সহ্য করতে পারেনা। মেনে নিলাম।

যখন চাল ডাল টিন জনগণের সম্পদ মেরে খাওয়া হয় তার অভিযোগ করা হলে এটি বি এন পির ষড়যন্ত্র মেনে নিলাম। 

কিন্তু যখন আওয়ামীলীগের অপকর্মের প্রমাণ দেখানো হয় তখন তারা অপকর্মের বিচার বাদ দিয়ে প্রমাণ কোথায় পেলো, সে কোন দল করে, আই এস এর সদস্য নাকি, তার বাবা জামাত শিবির করে, নাকি রাজাকার ছিল সেই গুলো নিয়েই তদন্ত করা হয়। এবং তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করেন।

যদি কোনো কারণে তাকে (বিচার প্রার্থীকে) রিমান্ডে নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বলা হয়। আমরা বি এন পির থেকে কম লুটপাট করছি।

জনগণের উপর শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ঋণের বোঝা স্বরূপ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। জোরপূর্বক টেলিভিশনে পর্দায় এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে তার ছবি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন আওয়ামীলীগ সেটি গোপন করেছে।

বর্তমানে ডিজিটাল আইনের আবির্ভাব করে বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। চামচামি আর  দালালি ছাড়া জাতীয় গনমাধ্যমে কিছুই প্রচার করা হয় না। কোনো কিছু প্রচার করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। 

তার প্রভাব সোস্যাল মিডিয়াতেও বিস্তার করা হয়েছে। সরকার বিরোধী প্রতিবাদী পোস্ট করা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ইসলাম বিরোধী পোস্ট করা হলে তখন নিরবতা পালন করা হয়।

ধর্মীয় ব্যাপারে আওয়ামীলীগ একই বিচার ব্যবস্থা জারি রেখেছেন। তবে হিন্দু ধর্ম তাদের কাছে একটু বেশিই প্রিয়। হিন্দুদের সাথে মিলে মিশে পূজা উৎসব পালন করেন। এবং শেখ মুজিবুর এর মূর্তি বানিয়ে তার চর্চা করেন।

কোরআন অবমাননার জন্য এখনো কারো শাস্তি হয়নি। কিন্তু তার প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। 

ইসলাম বিরোধী হিংস্র বক্তব্য প্রকাশ করা হলে। তা নিয়ে এদের কিছু করার বা বলার থাকে না। মুসলমানরা সক্রিয় হলে তখন আর এরা বসে থাকতে পারে না। সরাসরি অস্ত্র নিয়ে মুসলমানদের ওপর হামলা চালায়।

কারা এই ইসলাম বিরোধী প্রতিহিংসা পরায়ন উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করে তারা কারা, কেন এগুলো করে তা জানতে চাওয়া হয় না। বলা হয় সামান্য ফেইসবুক লাইভ নিয়ে মুসলমান উগ্রবাদ জঙ্গিরা হিন্দুদের আঘাত করেছেন। তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।



শেয়ার করুন

0 coment rios: