২৬ অক্টোবর, ২০২১

হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন শৃংখলার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হুমকি

হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন শৃংখলার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হুমকি

হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন শৃংখলার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হুমকি


চাল চুরির সংবাদ প্রকাশ করায় সা়ংবাদিক এর নামে মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে চাল চুরির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মামলা হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নামে , জাগোনিউজ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, প্রতিবেদক তানভীর হাসান (শাওন আমিন) এবং রহিম শুভ-র বিরুদ্ধে৷ শনিবার রাতে ডিজিটাল আইনে বালিয়াডাঙ্গি থানায় মামলাটি করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম ভাসানী৷
এজাহারে বলা হয়েছে, ৯ এপ্রিল বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় ১০ টাকা কেজি দরের ৬৮ বস্তা চাল উদ্ধার হয়৷ এর একদিন আগে তানভীর হাসান এবং রহিম শুভ মোমিনুল ইসলাম ভাসানীকে ‘চাল চোর’ বলে ফেসবুকে পোস্ট দেন৷ পরে মোমিনুল ইসলাম ভাসানীর বড় ভাই বড় পালাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়৷ এতে মোমিনুল ইসলাম ভাসানী নিজের ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার অভিযোগে মামলা করেন৷
তানভীর হাসান স্বীকার করেন যে তার প্রতিবেদনে ভুল ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার প্রতিবেদনে একটু ভুল ছিল৷ যার গোডাউন থেকে চাল উদ্ধার করা হয়েছে, তার নামের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভাইয়ের নামের মিল রয়েছে৷ তাই তার ভাই বলে খবরের হেডিং-এ উল্লেখ করা হয়েছিল৷ আমরা কিছুক্ষণ পরেই তা সংশোধন করে দেই৷ কিন্তু তারপরও মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা৷ পুলিশ খুব দ্রুত মামলা নেয়৷ আসলে এখানে আমরা যারা করোনায় ত্রাণের চাল চুরির বিরুদ্ধে লিখি, তাদের শায়েস্তা করতেই এই মামলা৷ আমরা যাতে আর কোনো প্রতিবেদন করতে না পারি সেজন্যই এই হীন প্রচেষ্টা৷

আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হলে পরিণতি
আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে বা লেখালেখি করলে হুমকি ধামকি এবং মামলা খেতে হয়।


মূলত ঐদিন ৯ইে এপ্রিল ৬৮ বস্তা নয় ৮২১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবুও যেন পুলিশ সাংবাদিকদের উপর একটু বেশিই তৎপর, এযেনো চালচোরদের বিরোধিতা নয়, দেশদ্রোহীতা।

২৩ অক্টোবর, ২০২১

ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব




তাজ হাশমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে এবং তার শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবং তিনি বলেন শেখ মুজিব এর পতনের জন্য, শেখ মুজিব নিজেই দায়ী। চলুন ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির মুখেই শুনি।


বঙ্গবন্ধুর স্বভাব বা বৈশিষ্ট্য
বঙ্গবন্ধু আত্মপ্রচার করতে ভালোবাসতেন, এবং তিনি মুক্তিযুদ্ধের অবদান সম্পর্কে তার নিজের ভূমিকাই বেশি মনে করতেন। তারপর বাকি অংশ তার দলের নেতাকর্মীদের বলে মনে করতেন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা যারা অন্য দল করে বা আওয়ামীলীগ করেননা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বা স্বাধীনতায় তাদের অবদান আছে বলে মনে করেন না। তিনি তার সুবিধা মতো বিচার করতেন, আইন কানুন থাকলেও অনেকেই ছিলেন এর বাহিরে। তাদের অপরাধের কোন শাস্তি হতো না।

বঙ্গবন্ধুর শাসন যা তার পতনের কারণ

বঙ্গবন্ধু এই বিচার ব্যাবস্থার কারনে চুরি ডাকাতি অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। যার ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়, এবং না খেয়ে অনেক মানুষ মারা যায়।

এছাড়াও আওয়ামীলীগের পাতি নেতারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তারা লুটপাট জায়গা জমি বেদখল দিতে থাকে। এর প্রতিবাদ রোধ করতে অস্ত্র নিয়ে টহল দেয়া হয়।

শুধু সাধারণ জনগণ নয় রাষ্ট্রে নিয়োজিত অফসার এবং প্রসাশনেও আওয়ামীলীগ কর্মীদের অন্যায় অত্যাচার ছড়িয়ে পরে। এবং তাদের চাকরি অন্যায়ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে তার নিজবাড়িতে স্বপরিবারে হত্যার স্বীকার হন। এবং তার রাজত্বের সমাপ্তি ঘটে। 

বিশ্বাস যোগ্যতা

  • বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য ইতিহাস জানা গেলেও এই ইতিহাস বা তার শাসন কালটি সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে।
  • বর্তমানে উনার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মাঝে এই গুনাবলি বিদ্যমান।
  • শেখ হাসিনার অ্যাডভাইজার নিজে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন তিনি মধ্যযুগীয় স্বৈরাচার দের মতো দেশ শাসন করতেন। 
  • এই কথাগুলো শেখ হাসিনা মিথ্যা প্রমানিত না করে তাজ হাসমিকে ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক ভাবে কটুক্তি করেন, তাকে সাইবার অপরাধী, নাস্তিক এবং আইএস বলে আখ্যায়িত করেন। যা তাদের বৈশিষ্ট্য।
  • বর্তমানে এদের কর্মকাণ্ড, স্বৈরাচারী মনোভাব, এবং তাদের বক্তব্য যে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং দেখানো পথে চলেন। তাদের এই সব কর্মকাণ্ড কর্মকাণ্ডই যেনো তাজ হাশমির কথাগুলোর স্বাক্ষী এবং জলজ্যান্ত প্রমাণ।


২২ অক্টোবর, ২০২১

বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ নেতার বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুর এর অভিযোগ

বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ নেতার বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুর এর অভিযোগ

বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ নেতার বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুর এর অভিযোগ এবং গণ হারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার




বিএনপি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল। তাদের নামে বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ স্বাধীনতাবিরোধী বলে অভিযোগ করে থাকেন। এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তাদেরকেই দায়ী করেন।

বাংলাদেশে বিএনপির, জামায়াত, অর্থাৎ বিরোধী দলগুলো ছাড়া আর কেউই যেন অপরাধ করতে পারেনা। আসলেই কি তাই, নাকি তাদের অপরাধ, অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না? তাদের অপরাধের দায় চাপিয়ে দেয়া হয় বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের উপরে। এবং সাধারণ জনগণ বিরোধীতা অর্থাৎ প্রতিবাদ করলে, তাদের কে জামায়াত শিবির, বিএনপি অর্থাৎ বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে তাদের নামেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়।

বর্তমান প্রথম আলোর একটি সংবাদে বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে বন্দি থাকা তিন জনের নামে মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয় বলে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা তিন জনই হেফাজত ইসলামের সহিংসতা মামলায় ৬ মাস ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।

তিন আসামি হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দিন ওরফে পাভেল ও বিএনপির কর্মী জোনায়েদ মেহেদী। তিনজনেরই বাড়ি হাটহাজারীতে।

কারাগারে থাকা বন্দীদের ভাঙচুরের মামলায় আসামি করা পুলিশের খামখেয়ালিপনা বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী। এটিকে পুলিশের খামখেয়ালি বলা হলেও এইটি স্পস্ট যে এইরকম খামখেয়ালির শিকার বিএনপির সকল নেতাকর্মী আগেও হয়েছেন এবং এখনো হচ্ছেন। মূলত এটি বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র। 

কারাবন্দী থাকা ব্যক্তিকে আসামি করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার বাদী হাটহাজারী থানার এসআই আবিদুর রহমান ফোন ধরেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জেল থেকেও হুকুম দিতে পারে।

তবে জেল থেকে কোনো আসামির হুকুম দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান চট্টগ্রাম কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বন্দীরা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকেন। বর্তমানে স্বজনদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে।

এর থেকে একেবারেই স্পস্ট বোঝা যায় শুধুমাত্র খামখেয়ালি নয়, তারা বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের উপরে দোষারোপের জন্য কতটা পারদর্শী। যে দেশের প্রসাশন এইরকম খামখেয়ালির করে থাকেন, তারা জনগণের যে কি এমন নিরাপত্তা দেন, আদৌও তারা জনগণের কাছে নিরাপদ কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।



২০ অক্টোবর, ২০২১

এ কেমন রাজনীতি খুনিকে দেয় সম্মান আর রাজাকারের ফাঁসি

এ কেমন রাজনীতি খুনিকে দেয় সম্মান আর রাজাকারের ফাঁসি

এ কেমন রাজনীতি খুনিকে দেয় সম্মান আর রাজাকারের ফাঁসি




পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযোগ্য চালায়। বাড়ি ঘড় জ্বালিয়ে দেয়, মা বোনদের ধর্ষণ করে। তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পরিবার বেশ নিরাপদেই ছিলো এবং পাকিস্তানিদের ভাতা খাচ্ছিলো। 

কিন্তু বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে কেমন ছিল, তার উপর কি অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল এই ভিডিওটি দেখলে স্পস্ট বুঝতে পারবেন।

ভিডিও ফুটেজটি ১৯৭৪ সালের, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভূট্টো খাঁনকে আমন্ত্রণ করে লাল গালিচা সংবর্ধনার। যায মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেন ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যাকারিকে শাস্তি নয় সম্মান প্রদান করা হয়েছিল?

৩০ লক্ষ শহীদের, ২ লক্ষ বিরাঙ্গনার এমনকি আপনার পরিবার প্রিয়জন ছেড়ে জেলখানার বন্দী জীবনের কথা ভুলে গেলেন। কিন্তু কেনো?

এর সাথে কি আপনার পরিবারের নিরাপত্তা, পাকিস্তানি ভাতা এবং পাকিস্তানিদের সাথে সমঝোতার কোনোই সম্পর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধের পিছনে আপনাদের কি কোনোই ব্যাক্তিগত সার্থ ছিলোনা। 

অবশ্যই ছিলো, কারণ আমি বলবো ওইটা লাল গালিচা ছিলোনা, আমার শহীদ ভাইয়ের তাজা রক্ত ছিলো। আপনারা সার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারেন এবং করেন। যার প্রমাণ আমরা বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডে যা সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হচ্ছে।

সার্থের জন্য আপনারা সবকিছু করতে পারেন তার প্রমাণ। রাজাকারের ফাঁসি আর খুনির লাল গালিচার সম্মান একেবারেই বে মানান।



১৯ অক্টোবর, ২০২১

কেনো যে কোনো অপকর্মের দায়ে মুসলমানদের উপর আঙ্গুল তোলা হয়

কেনো যে কোনো অপকর্মের দায়ে মুসলমানদের উপর আঙ্গুল তোলা হয়

কেনো যে কোনো অপকর্মের দায়ে মুসলমানদের উপর আঙ্গুল তোলা হয়?




ইসলাম শান্তির ধর্ম, তবে কেনো যেকোনো অন্যায় অপকর্মের জন্য মুসলমানদের দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়। আমি একজন বাঙ্গালি, এই বাংলাদেশে আমার জন্ম। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি দেখিনি শেখ মুজিবের শাসন কাল। আপনারা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন করেছেন। মুছে ফেলেছেন শেখ মুজিবরের সৈরাচারি শাসন কাল। 

এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যাথা ছিলোনা। স্বাধীনতার শত্রু বলে হত্যা করেছেন জামায়াত ইসলামের প্রভাবশালী মুসলিম নেতাদের। আমরা সহ্য করেছি কারন মুসলমানদের ভুল হতে পারে তারা অন্যায়ে লিপ্ত হতেই পারে। তাই তার কোনো প্রতিবাদ করিনি।

তাই মুসলমানদের দূর্বল ভেবে আপনারা কোরআন বিরোধী কথা বলেছেন। কোরআনকে অবমাননা করেছেন, ইসলামকে অস্বীকার করেছেন এবং ইসলামকে মুছে ফেলে মুজিবীয় সৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করার দূর্সাহস দেখিয়েছেন।

কিন্ত আমরা মুসলমানরা এটি মেনে নিব না। কারন আমরা মুসলমানের ভূল থাকতে পারে এটা মেনে নিলেও কুরআনের এবং ইসলামের ভূল আছে এটা আমরা মানি না, মানবো না। এবং এর ঘোর বিরোধীতা প্রতিবাদ জানাই।

এখন আসি বর্তমান পরিস্থিতিতে: বর্তমানে কোনো ইসলাম ধর্মের অনুসারী বিপথগামী হয়ে একটা অন্যায় করে ফেললে তা এইভাবে হেডলাইন করে প্রচার করা যে অমুক মসজিদের ইমাম ধর্ষন করেছেন, অমুক মাদরাসার শিক্ষক ছাত্রিকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু একজন এমপির বেলায় তার প্রচার হয়না, এমনকি মামলা করলেও তার কোনো বিচার হয়না।যে নীতি একজন এমপির বেলায় প্রয়োগ করেন, সেই নীতি কেন একজন মুসলীম এর বেলায় দেখাতে পারেন না। আমরা আপনাদের এই অচল নীতি এবং আপনাদের কে প্রত্যাখ্যান করি।

আপনারা (আওয়ামীলীগ) মুসমানদের রাজাকার, জঙ্গি বলে অপপ্রচার চালিয়ে যে ইসলামকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। আমি আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছি যে 

রাষ্ট্র চলবে ইসলামী আইনে, তবে আমি বেচেঁ থাকতে এই বাংলার বুকে আমার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ভাইদের কেউ বিনা কারণে অন্যায় ভাবে একটা টোকাও দিতে পারবেনা। হিন্দুদের দিবো মূর্তি ভাঙ্গার, অগ্নী সংযোগ এবং কেন পূজা বন্ধ করা হলো তার ন্যায় বিচার। মুসলমান পাবে ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে যারা শহীদ হলো তাদের প্রতিটি রক্ত বিন্দুর হিসাব। দেশ থেকে দূর করবো মীর জাফর এবং সৈরাচারি শাসক, ইনশাআল্লাহ।


টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-২

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-২

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-২




হে টাকলা মুরাদ, তুমি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে দেশ থেকে ইসলাম তুলে দিতে চাও। তুমি নিজেকে কি মনে কর? তোমার বাপ দাদা ফেরাউন, আবুজাহেল ্পবিত্র কোরআনের একটা নোক্তা পরিবর্তন করতে পারেনি, আর তুমি এসেছো গোটা কোরআন’ই মুছে ফেলতে। 

হে মুরাদ তুমিতো আওয়ামীলীগের সামান্য একটা টাকলা কুকুর মাত্র। তুমি কি জাননা তুমি কেন সারা পৃথিবীর সবকিছু মিলিয়ে কোরআনের একটি অক্ষরের সমতূল্য হতে পারবে না। 

হে টাকলা তোমার দল বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম মুছে ফেলার দূর্সাহস কোথায় পেলো, তোমরা কি জানো বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখতে কয়টি বর্ণ বা কয়টি শব্দ লাগে।

হে টাকলা অনেক হয়েছে তোমাদের কান্নাকাটি অনেক সহ্য করেছি তোমাদের ভন্ডামি। কেদে কেটে স্বাধীনতার গল্প বলো, আর মুসলমানদের উপর জঘন্য ভয়ঙ্কর মিথ্যা অপকর্মের দায় চাপিয়ে বিশ্বের কাছে ছোট করো। চালিয়ে যাও কুত্তালীগের অন্যায় অত্যাচার।

হে টাকলা মুরাদ তোমার অন্যায়ের কোন ক্ষমা নেই। ফেরাউনকে যেমন নীল নদে ডুবে মারা হয়েছিল, তোমাকে নীল নদে নয় বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে হত্যার দাবি জানাই সমগ্র মুসলিম জাতীর কাছে।


১৮ অক্টোবর, ২০২১

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন স্বাধীন বাংলার মীরজাফর

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন স্বাধীন বাংলার মীরজাফর

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে স্বাধীন বাংলার মীরজাফর। এ কেমন বিচার?




এবার মীরজাফরকে হার মানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকার। 

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে বিরোধী দলীয় নেতাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। তাদের নামে মামলা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কাউকে হত্যা করে। কাউকে দেশ ছাড়া করে। আর বাকি যারা দেশে ছিলো তাদের উপর নিজেদের অপকর্মের দায় চাপিয়ে দেন। 

এর ফলে এদের অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলে। তারা চুরি ডাকাতি খুন গুম ধর্ষণ সবধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। এবং রাজাকার, আই এস, জামাত শিবির এর কথা বলে প্রতিবাদ রোধ করে। এর পর এরা ইতিহাস বিকৃত করতে করতে নতুন ইতিহাসে জন্ম দেয়।

এবার তারা নিজেদের সর্বশক্তিমান ভাবতে শুরু করে। জনগনের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়। এবং নতুন ইতিহাসের বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়।

মুসলমানগণ এই ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করেন। তার ফলে বিভিন্নভাবে এদের দ্বারা হয়রানির স্বীকার হতে হয়।  রাজাকার, জামাত শিবির, আই এস এর কথা বলে মুসলমানদের জঙ্গি প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে। তবুও মুসলমান ইসলামকে ছাড়তে নারাজ।

তাই এরা এবার ইসলামকে চিরতরে মুছে দেয়ার জন্য প্রথমে ইসলামকে বিকৃত করে (ধর্ম যার যার উৎসব সবার) হিন্দু ভাইদের প্রতি গভীর প্রেম দেখান। তাদের পূজায় অংশ নেন এবং সেখানে গন্ডগোল পাকিয়ে ইসলাম প্রেমি মানুষের সাথে বিরোধীতার সৃষ্টি করে দেন।

আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীগণ আরও  দাবি করেন, বি এন পি এবং এরশাদ সরকারের সময় নাকি হিন্দুদের উপর বেশি অন্যায় অত্যাচার চালানো হয়। 

কিন্তু দেখুন এই হিন্দু ভাই কি বলেন



আওয়ামীলীগ একটি অভিশপ্ত দল, এই দলটি হলো আওয়ামী মুসলিম লীগের বিকৃত রূপ। এদের দু-মুখি আচরণ, অন্যায়, অত্যাচার, আত্মপ্রচার এগুলো সহ্য করতে না পেরে অনেক সত্যিকার দেশ প্রেমিক এই দলটি ত্যাগ করেছেন।


আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না

আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না

আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না




আওয়ামীলীগ সরকার দেশে নাকি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আই এস, জামাত শিবির, বি এন পি, এবং পাকিস্তানি রাজাকার নাকি এদের শান্তি শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটায়। দেশের উন্নতি নাকি এরা সহ্য করতে পারেনা। মেনে নিলাম।

যখন চাল ডাল টিন জনগণের সম্পদ মেরে খাওয়া হয় তার অভিযোগ করা হলে এটি বি এন পির ষড়যন্ত্র মেনে নিলাম। 

কিন্তু যখন আওয়ামীলীগের অপকর্মের প্রমাণ দেখানো হয় তখন তারা অপকর্মের বিচার বাদ দিয়ে প্রমাণ কোথায় পেলো, সে কোন দল করে, আই এস এর সদস্য নাকি, তার বাবা জামাত শিবির করে, নাকি রাজাকার ছিল সেই গুলো নিয়েই তদন্ত করা হয়। এবং তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করেন।

যদি কোনো কারণে তাকে (বিচার প্রার্থীকে) রিমান্ডে নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বলা হয়। আমরা বি এন পির থেকে কম লুটপাট করছি।

জনগণের উপর শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ঋণের বোঝা স্বরূপ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। জোরপূর্বক টেলিভিশনে পর্দায় এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে তার ছবি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন আওয়ামীলীগ সেটি গোপন করেছে।

বর্তমানে ডিজিটাল আইনের আবির্ভাব করে বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। চামচামি আর  দালালি ছাড়া জাতীয় গনমাধ্যমে কিছুই প্রচার করা হয় না। কোনো কিছু প্রচার করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। 

তার প্রভাব সোস্যাল মিডিয়াতেও বিস্তার করা হয়েছে। সরকার বিরোধী প্রতিবাদী পোস্ট করা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ইসলাম বিরোধী পোস্ট করা হলে তখন নিরবতা পালন করা হয়।

ধর্মীয় ব্যাপারে আওয়ামীলীগ একই বিচার ব্যবস্থা জারি রেখেছেন। তবে হিন্দু ধর্ম তাদের কাছে একটু বেশিই প্রিয়। হিন্দুদের সাথে মিলে মিশে পূজা উৎসব পালন করেন। এবং শেখ মুজিবুর এর মূর্তি বানিয়ে তার চর্চা করেন।

কোরআন অবমাননার জন্য এখনো কারো শাস্তি হয়নি। কিন্তু তার প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। 

ইসলাম বিরোধী হিংস্র বক্তব্য প্রকাশ করা হলে। তা নিয়ে এদের কিছু করার বা বলার থাকে না। মুসলমানরা সক্রিয় হলে তখন আর এরা বসে থাকতে পারে না। সরাসরি অস্ত্র নিয়ে মুসলমানদের ওপর হামলা চালায়।

কারা এই ইসলাম বিরোধী প্রতিহিংসা পরায়ন উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করে তারা কারা, কেন এগুলো করে তা জানতে চাওয়া হয় না। বলা হয় সামান্য ফেইসবুক লাইভ নিয়ে মুসলমান উগ্রবাদ জঙ্গিরা হিন্দুদের আঘাত করেছেন। তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।


ভারতকে প্রধান মন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া

ভারতকে প্রধান মন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া

ভারতকে প্রধান মন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া




সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। বলেছেন সেখানে তারা এমন কিছু যেনো না করেন যে তার কুপ্রভাব বাংলাদেশ পরে।


প্রতিক্রিয়া: এই সংবাদটি শোনার পরে মুসলমানরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং হাসিনা ভক্ত হয়ে গেছেন। এটাই স্বাভাবিক এই প্রথম তিনি বাংলার জনগণের একটি মনের কথা বলেছেন।


আমি মুসলমান ভাইদের বলছি এতে আপনাদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। এই কথা শুধু বলা হয়েছে কাজের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। 


  • আমাদের যে ভাই কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ করার জন্য ডাক দিয়ছিলেন তিনি কিন্তু এখনো জেলখানায়। 
  • যে ভাইয়েরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন দিয়েছেন, কেন তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল, তাদের জন্য কি ব্যাবস্থা নিয়েছেন?
  • টাকলা মুরাদ যে ইসলাম বিরোধী কথা বলেছে তার কি শাস্তি হয়েছে।
  • এই ইস্যু নিয়ে কয়টি হিন্দুকে গ্রেফতার করেছেন, মুসলমানদের উপর কি কোন হামলা করা হয়নি।
  • হিন্দু নরপশু সন্ত্রাসী যে এই বক্তব্য দিয়েছেন তারজন্য তার সরকার কি শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে এর কি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 


বর্তমান সরকারের বৈশিষ্ট্যঃ   স্বার্থে জন্য যখন তখন নিজের রূপ পরিবর্তন করেন। ইসলাম বিরোধী কাফের, মুনাফিক দের কি বিশ্বাস আছে? আমি মনেকরি এটি আপনাদের নতুন একটি পরিকল্পনা।


পরিকল্পনা উদ্দেশ্য

  • আপনার এই মুসলিম দরদী কথা শুনে মুসলমান আপনার ভক্ত হয়ে যাবে। ভুলে যাবে ইসলামের জন্য শহীদ হওয়া ভাইদেরকে।
  • আপনারা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তার কেউ কোন প্রতিবাদ করবেনা বিচার চইবেনা।
  • মুসলমানরা যখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, সচেতন থাকবেনা, তখন যারা এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদেরকে হত্যা করবেন।



কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা কেন্দ্রে মূর্তির পায়ে কোরআন এটি দূরসাহস নাকি ষড়যন্ত্র

কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা কেন্দ্রে মূর্তির পায়ে কোরআন এটি দূরসাহস নাকি ষড়যন্ত্র

কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা কেন্দ্রে মূর্তির পায়ে কোরআন এটি দূরসাহস নাকি ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র হলে কাদের ষড়যন্ত্র, এর সাথে রাষ্ট্র ধর্ম থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার সম্পর্ক কি?




কুমিল্লা নানুয়ার  মূর্তির পায়ে কোরআন এটা হিন্দুদের দূর সাহস হতে পারে। কারণ বাংলাদেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম থাকা স্বত্ত্বেও তারা নীপিড়িত, নির্যাতিত। মুসলমানদের রাজাকার, জামাত শিবির বলে বৈধ এবং অবৈধ ভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরে নাইবা গেলাম। আবরার হত্যার বিষয়টি বিবেচনা করুন, নামাজ পড়ার জন্য, মানুষকে নামাজের দাওয়াত দেওয়ার জন্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বলা হতে পারে তার সঠিক ন্যায় বিচার করা হয়েছে। তাহলে আমি বলবো ন্যায় বিচারের সঙ্গা জানেন? বিচারক হবার জন্য বিচার নয়। অপরাধের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্যই বিচার। আজও মুসলমানদের জঙ্গি উগ্রবাদী বলা হয় এর থেকেই এরা এই দুর্সাহস পেয়েছে।


এটা যদি ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে তাহলে ষড়যন্ত্র কারা করেছে, আর আপনারা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বিলুপ্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন কেন, এতে আপনাদের সার্থ কি।


কেন কুরআন অবমাননার শাস্তি দাবি করায় মামলা খেতে হলো। কেনো তাকে জামাত শিবির সন্দেহ করা হলো? সকলেইতো আপনাদের মতো বেঈমান না। আপনাদের যেমন মূর্তি ভাঙ্গলে জ্বলে। আমরা তো আপনাদের র এর এজেন্ট বলিনা। তাহলে আমরা কোরআন অবমাননা করার জন্য কষ্ট পেলে কেনো আমাদের জঙ্গি, রাজাকার মৌলবাদী বলে আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আমাদের হত্যা করেন। আপনারা তো প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের গ্রেফতার করেন। তারপর অন্যায় ভাবে যোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করেন।


আমরা অন্যায় তুলে ধরলে সেটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে, ডিজিটাল আইনে মামলা খেতে হয়। আর হিহিন্দুরা অপপ্রচার করলে তাদের কোলে নিয়ে দুদু খাওয়ান।তাদের খুশি করতে ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দেন। কেন এর কারন কি? এর কারন হলো আপনারা কোরআন বিরোধিতা করেন। তার কারন এখানে ক্লিক করে মিলিয়ে নিন।


এটা দূর্সাহস হলে তা আপনাদের (আওমিলীগের) কাছ থেকে পেয়েছে। আর ষড়যন্ত্র হলে এটা আওমিলীগের ইসলাম বিরোধী এবং দেশ থেকে ইসলাম তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র।



টাকলা চ্যালেঞ্জ

টাকলা চ্যালেঞ্জ

টাকলা চ্যালেঞ্জ




হে টাকলু তোমাকেই বলছি, তুমি বলেছ শেখ মজিবের বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখানে কেউ কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিতে পারবেনা, দাড়িওয়ালা দের সেভ করে দিবে, মোবাইলে ওয়াজ বাজানো হলে লাথি মেরে ফেলে দিবে। হে টাকলু মুরাদ তোমার জন্য ভাষা খারাপ করতে বাধ্য হচ্ছি, আল্লাহ মাপ করুন, হে টাকলু বঙ্গবন্ধু কি গুয়ামারা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। তাকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়ে গুয়ামেরেছে তুমি কি দেখেছো। নাকি ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। ইসলাম দেশকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। তুমি দেশ থেকেই ইসলাম তুলে দিবে? পারলে তুমি ৭২ রে ফিরে গিয়ে মরা বাপকে তুলে জীবিত করে দেশ থেকে চিরতরে ইসলাম মুছে ফেলে দেখাও।



১৭ অক্টোবর, ২০২১

কি ছিলো টাকলা মুরাদ এর ইসলাম এবং গণতন্ত্র বিরোধী বক্তব্যের উদ্দেশ্য

কি ছিলো টাকলা মুরাদ এর ইসলাম এবং গণতন্ত্র বিরোধী বক্তব্যের উদ্দেশ্য

টাকলা মুরাদের গনতন্ত্র এবং ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের কারণ বা উদ্দেশ্য কি?





এই বক্তব্যে লক্ষনীয় বিষয় গুলো হলো

  • টাকলার কথা বলার ধরন
  • টাকলা সকল ধর্ম বিকৃত করেছে
  • টাকলা গনতন্ত্রকে অস্বীকার করেছে
  • টাকলা ইসলামকে অস্বীকার করেছে
  • টাকলা ইসলাম বিরোধীতা করেছে
  • টাকলা মুসলমানদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে
  • টাকলা ডিফেন্স এবং সেনাবাহিনীদের নিয়ে কটুক্তি করেছেন
টাকলার কথা বলার ধরন টা এমন ছিল এতো আহ্লাদ/আনন্দিত দেখাচ্ছিল যে ওর দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।

শারদীয় দূর্গা উৎসব এটি এটি নাকি কোনো ধর্মের উৎসব নয়। এটি নাকি সমগ্র বাঙালি জাতির। বাঙালি জাতির এটা কিভাবে হলো। সবাই মিলে মূর্তি পূজা করবে তার জন্যই কি বাঙালী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তাহলে কি যে হিন্দুরা বাংলা জানেন না তারা এই উৎসব পালন করতে পারবে না।

টাকলা বলেছেন এই দেশ নাকি মজিবরের এবং তার সুযোগ্য কন্যা হাসিনার। তাহলে আমরা কারা? গনতন্ত্রের মূল নীতি হলো জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের সেবক নির্বাচিত করা। হাসিনার দেশ হলে আমরা কি ভাড়াটিয়া নাকি হাসিনার দয়ায় এ দেশে বসবাস করি।

বাংলাদেশের সংখ্যগরিষ্ঠ মুসলিম থাকার পরও টাকলা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং বাংলাদেশকে ইসলামীক কান্ট্রি হিসেবে অস্বীকার করেছে।

টাকলা ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম থেকে বাদ দিতে চেয়েছে তার করণ বাংলাদেশে ভারতের মতো মুসলমানদের দিয়ে যেতে জয়রাম বলাতে পারে।

টাকলা মুসলমানদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। মুসলমানরা নাকি হিন্দুদের উপর অন্যায়, অত্যাচার, ধর্ষণ এবং হত্যা করেন। মুসলমান কারা মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ কি এর বৈধতা প্রদান করে। হিন্দুদের ধর্ম গোহত্যা মহা পাপ তারা এর বিরোধিতা করে। আমরা তো তাদের শূকর খেতে নিষেধ করিনা। তাহলে মুসলমানদের কাছে কিভাবে হিন্দুরা অত্যাচারিত হলো।

টাকলা একজন সেনাপ্রধান দেশের জন্য যারা জীবন বাজি রাখে দেশকে রক্ষা করার জন্য সর্বক্ষণ সচেষ্ট থাকেন, তাকে সামান্য একজন লেফট রাইট করা জেনারেল বলেছেন। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতোটাই প্রভুভক্ত কুত্তায় পরিণত হয়েছে যে তাদের কাজ শুধু এদের হুকুম পালন করা এরচেয়ে তারা বেশি কিছুই করতে পারবেনা। এইরকম ধারণা ছাড়া এমন জঘন্য মন্তব্য সম্ভব নয়। আমি মনেকরি এতে আমার যে ভাইরা নিজের জীবন বাজী রেখে দেশের মানুষের এমন বেঈমান অকৃতজ্ঞ নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই এর প্রতিবাদ করা অত্যন্ত জরুরি।


বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কেন ইসলাম বিরোধিতা করে, এবং আই এস, জামাত শিবির, জঙ্গি এবং রাজাকারের কথা বলে দেশে কি চালাচ্ছে

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কেন ইসলাম বিরোধিতা করে, এবং আই এস, জামাত শিবির, জঙ্গি এবং রাজাকারের কথা বলে দেশে কি চালাচ্ছে

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কেন ইসলাম বিরোধিতা করে, এবং আই এস, জামাত শিবির, জঙ্গি এবং রাজাকারের কথা বলে দেশে কি চালাচ্ছে?




শুরুতেই আমি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন নেত্রী শেখ হাসিনার কথা রিপিট করছি যে মনের খবর আল্লাহ ভালো জানেন। তবে আল্লাহ আমদের এতোটাই অচল করে তৈরি করেন নি, আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন যার দ্বারা আমরা ন্যায় অন্যায় ভালো মন্দ বুঝতে পারি।

ইসলাম বিরোধিতার কিছু কারণ উল্লেখ করছি যার কিছু তারা অস্বীকার বা প্রমান দাবি করতে পারেন, আর গুলোতে তার কোনো সুযোগ নেই।

  • ভারতের সাথে বিনিময় যেমন বাংলাদেশ থেকে ধর্ম তুলে দিলে ভারত তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে।
  • শেখ মুজিবুর রহমান কে জাতির পিতা ঘোষণা করেন কিন্তু মুসলমান এর স্বীকৃতি প্রদান করে নাই।
  • ইতিহাস ঐতিহ্য নয় শেখ মুজিবের মুর্তি ভাষ্কর্য তৈরিতে মুসলমানরা বাধা দান করে। কারণ এটি ইসলামে নিষিদ্ধ  তাই।
  • কোরআন না থাকলে হয়তো সবাই শেখ মুজিবের ইবাদত করবে তারজন্য।
  • শেখ হাসিনা পুত্র জয় বিধর্মী বিয়ে করেছেন তাই তাদের জন্য উপযুক্ত আরাম দায়ক পরিবেশ তৈরি করার জন্য।

এবার আসি আই এস, জামাত শিবির, জঙ্গি এবং রাজাকারের ঘোষণার কারণ প্রসঙ্গে

আই এস, জামাত শিবির, জঙ্গি এবং রাজাকারের কথা বলে আওয়ামীলীগ সরকার বেআইনিভাবে মানুষকে ধরে নিয় জেল, রিমান্ড অন্যায় অত্যাচার এবং খুন গুম করে থাকে। এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখে।

এখন আসি রাজাকার বা পাকিস্তানি দালালদের পরিচয় পর্বে

আপনারা যেই রাজাকারের কথা বলেন তারা কারা একাত্তরে যখন পূর্ব পাকিস্তানের খুন ধর্ষণ গণহত্যা, এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছিলো তখন আপনারা বেশ নিরাপদেই ছিলেন এবং পাকিস্তানি ভাতা খাচ্ছিলেন। কেন আপনারা কেউ খুন হলেন না কেন আপনারা ধর্ষিত হলেন না। আপনার বাবা অন্য ধর্ষিতা মেয়ের বাবা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতো কেনো? নিজের সার্থের জন্য। আপনাদের সেই একাত্তরের প্রতিচ্ছবি আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি। সেটি হলো একাত্তরের স্বীকৃতি প্রাপ্ত একজন রাজাকারের সাথে বেয়াই বিয়েন এর মধুর সম্পর্ক তৈরি করেছেন। 

আর এখন সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা শত্রু, জামাত শিবির, মৌলবাদী, পাকিস্তানের দালাল বলে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেল সাধারণ মানুষকি এটা বুঝে না ভেবেছেন, অবশ্যই বোঝে আপনাদের কাছে জিম্মি বলে মুখ খুলছে না। তাই ইসলামের উপর আঘাত হানবেন না তাহলে মুসলমান চুপ করে থাকবে না।