১৭ এপ্রিল, ২০২২

কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজির ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি - Fry Punishak with cannabis

কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজির ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি - Fry Punishak with cannabis

কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজির ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি

এবার কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজি থেকে সদ্য পাশ করা এক যুবক আবিষ্কার করলেন গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজির রেসিপি। দীর্ঘ দিন যাবৎ গবেষণা করে তিনি এই রেসিপি আবিষ্কার করেন।

গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি - gaja dia Puishak vaji

এই বিষয়ে তিনি আমাদের জানান, গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রীরা খুবই পছন্দ করেন। তারা অনেকেই এগুলো খেয়ে সংসদে আসেন, এবং জনগণের দুঃখ কষ্ট দূর করার বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করেন। 

গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি খেয়ে বাংলাদেশের গবেষক গণ গবেষণায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তারা ইতোমধ্যে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনী, তরমুজ ও কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও তারা ধারণা করছেন খুব শীঘ্রই তারা কুকুর, পেঁচা, সাপ এবং ড্রাগন নিয়ে মঙ্গলগ্রহে যাবেন। সেখানে এলিয়েনের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করতে সক্ষম হবেন। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যাটেলিয়ানের সদস্য সহ সকল প্রকার নিরাপত্তা কর্মী তাদের অপারেশনের পূর্বে গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি খেয়ে শত্রু পক্ষকে সহজে ঘায়েল করতে পারেন।

গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি উচ্চবিত্ত এবং রাজনীতিবিদ দের খাবার, তাই গাঁজা চাষ অত্যান্ত লাভজনক পেশা। আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া গাঁজা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গাঁজা চাষ করে পাঁতি নেতারা প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন করছেন, এবং উন্নত দেশ গুলোতে একেক জন দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা রপ্তানি করছেন। 

এই ছিল কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল্লাহ আল মুতীর কাছে থেকে পাওয়া তথ্য। তিনি আমাদের আরো জানিয়েছেন গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বড় ধরণের ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য।

২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

এস. আই. এবং অভি গাড়ির অভিনব প্রতারণা - fancy fraud of si and ovi enterprise

এস. আই. এবং অভি গাড়ির অভিনব প্রতারণা - fancy fraud of si and ovi enterprise

ভ্রমণ সবসময় সবার কাছে সুখময় হয় না। কেউ আনন্দ বিনোদনের জন্য ভ্রমণ করে, কেউবা নিত্যান্ত প্রয়োজনে। কিন্তু সবারই আকাঙ্ক্ষা থাকে তার ভ্রমণটি যেনো হয় নিরাপদ এবং আরামদায়ক। সেই লক্ষ্যে বেশি টাকা খরচ করি এবং বেশিরভাগ সময়ই প্রতারিত হই।

আজ আমি উত্তরবঙ্গের এই ধরনের কিছু প্রতারকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। উত্তরবঙ্গের সুনামধন্য এবং কথিত ডাইরেক্ট গাড়ি এস. আই এবং অভি, এরা বেশ কিছুদিন যাবৎ করোনার দোহাই দিয়ে যেখানে সেখানে লোক উঠানামা করান। তবে এখন তারা আবিস্কার করেছেন নতুন কৌশল।

প্রতারণা কৌশলগুলো হলোঃ
  • এক গাড়ির টিকিট অন্য কাউন্টারে বিক্রি, সেই টিকিটে গাড়িতে উঠতে দিলেও সিট দিবে না।
  • সিট প্লান এবং টিকিট ছাড়া যাত্রী নেওয়া।
  • কাউন্টার ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় যাত্রী ওঠানামা করানো।
  • যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই গাড়ির পরিবর্তন করা।
  • নিরাপত্তা জনিত যেমন হিজরা বা বহিরাগতদের দ্বারা হয়রানি করা।


উপরের ছবিটিতে লক্ষ করুন অভির টিকিট, এস আই গাড়ি। টিকিটের সিট C1, C2 and D1 কিন্তু বসে আছি সবার পিছনের সিটে।

বিশদ বিবরণঃ
আমি মোঃ আবদুল্লাহ আল মুতী সোহাগ খাঁন ২২ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ এর সকালে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহপুর অভি কাউন্টারে টিকিট ক্রয় করতে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত ব্যাক্তি জানান অভি গাড়ি আসতে বিলম্ব হবে তাই এস. আই. গাড়িতে যাবার। এবং আকর্ষণীয় সিট A4 অফার করে, তাই রাজি হয়ে যাই এবং অভির টিকিট নিয়ে এস. আই. গাড়িতে উঠি। উঠে দেখি পিছনের গোটাকয়েক সিট বাদে সবগুলোই বুকিং। যাইহোক পিছনের সিটে কষ্ট করেই সিরাজগঞ্জে আসি।

এবার ফেরার পালা ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ ঢাকায় ফেরার পালা, সকাল ৬টা ৪৫মিনিটে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনের অভি কাউন্টারে উপস্থিত হই ৭টা ৩০ মিনিটের আব্দুল্লাহপুরগামী বাসের টিকিট ক্রয় করি। গাড়ি খালি থাকায় সামনেই সিট পেয়ে যাই। পথের মধ্যে যাত্রী উঠানামার ফলে গাড়ি পূর্ণ এবং খালি হতে থাকে। গাড়টি যখন চন্দ্রা আসে তখন গাড়ির ড্রাইভার এবং সুপারভাইজার সামনে যেতে অস্বীকৃতি জানান, এবং জোরপূর্বক অন্য একটি এস. আই. গাড়িতে তুলে দেয়। সেখানে যাত্রীদের বসার জায়গার অভাব দেখা দেয়। এবং ১ম এবং ২য় ধাপে যাত্রী হয়রানির পর যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ এবং যারা বাসে বমি করেন তাদের সাথে চরম পর্যায়ে দূরব্যাবহার করা হয়। 

উপরিউক্ত অভিজ্ঞতা থেকে উত্তর বঙ্গের যাত্রীদের জন্য আমির নির্দেশনাগুলো হলোঃ
  • ডাইরেক্ট গাড়ি মনে করে এস. আই. এবং অভি গাড়িতে উঠবেন না।
  • এক কাউন্টার থেকে অন্য গাড়ির টিকিট কিনবেন না।
  • সিটে বসার পূর্বে গাড়িভাড়া দিবেন না।
  • খুচরা ২০ - ৫০ টাকা আলাদা রাখুন।
  • গ্যানজাম এবং ঝামেলা করার সামর্থ্য বা মানসিকতা না থাকলে এই গাড়িতে উঠবেন না।
  • যারা গাড়িতে বমি করেন তারা এই গাড়িতে উঠবেন না।
  • যাদের আত্মসম্মান বোধ আছে, এবং গাড়ির স্টাফদের কাছে থেকে ভালো ব্যাবহার আশা করেন তারা এই গাড়িতে উঠবেন না।