২৫ নভেম্বর, ২০২১

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই, কারন সরকারের উন্নয়ন জনগণের কল্যানের জন্য নয়।

উন্নয়ন বলতে আমরা সাধারণ মানুষ যা বুঝি নতুনত্বের ছোয়া, সহজ জীবন যাপন ব্যাবস্থা। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে দেখার বিষয় উন্নয়ন টা কার, দেশের, জনগণের নাকি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের। আমরা সবসময় যে উন্নয়নের বাণী শুনি, তা আমাদের জীবনে কি পরিবর্তন এনেছে তার প্রভাব আলোচনা করি।


উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন ও তার প্রভাব


বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন গুলো হলোঃ
  • পদ্মা সেতু, 
  • পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, 
  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, 
  • রেল সংযোগ এবং 
  • পায়রা সমুদ্র বন্দর।

প্রভাবঃ পদ্মা সেতু যোগাযোগের উন্নত মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ সকলের পেশা হতে পারে না। আমরা সাধারণ মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে গেলে আমরা কোনো টাকা পাইনা। আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। আমাদের আয়ের উৎস না থাকলে খরচ করবো কিভাবে। বলা হতে পারে যে শ্রম বিনিয়োগ বা ব্যাবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের অপব্যবহারের ফলে শ্রম বিনিয়োগ, ব্যাবসা করছে জনগণ লাভবান হচ্ছে চাদাবাজ, দূর্নীতিবাজ নেতাকর্মী এবং অসৎ প্রশাসন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশের শিল্প কারখানা প্রসার বা বিপ্লব ঘটাবে। এই উন্নয়নের সুফল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পাবে, তাদের অধিকার যদি প্রতিষ্ঠা না করা হয়। আর বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপার যারা আগে ২০০ টাকা বিল দিতো তাদের এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের দেশের তথ্য প্রযুক্তির নিরাপত্তা দিবে, জনমত প্রকাশের সুযোগ করে দিবে যা দেশের উন্নয়ন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি আইনের জন্য মানুষ স্বাধীন মতামত ও সত্য প্রকাশ করতে পারেনা। দালালি, তোষামোদ করার কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর মোবাইল বিল ২৫ পয়সা থেকে ৩ টাকা মিনিট।

পায়রা সমুদ্র বন্দর দেশের পর্যটন, ব্যাবসা বানিজ্য অর্থনীতির উন্নয়ন, এবং আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করবে। পর্যটনের মতো বিলাসিতার জন্য পেটে ভাত আর মনে সুখ থাকা জরুরি। ব্যাবসা বানিজ্যে মাথাপিছু আয় বাড়লেও বাড়ছেনা জনগণের ধনসম্পদ ও সুযোগ সুবিধা। জনগণের বাড়ছে শুধু ঋণ।

অ উল্লেখিত উন্নয়ন ও তার ব্যাখ্যা


বর্তমান সরকারের অ উল্লেখিত উন্নয়ন গুলো হলোঃ 
  • অটো নির্বাচন পদ্ধতি, 
  • সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, 
  • সন্ত্রাসী প্রশাসন, 
  • বেগম পাড়া সহ উন্নত দেশে ব্যাবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা।

ব্যাখ্যাঃ অটো নির্বাচন পদ্ধতি হলো বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দিয়ে দেশের মানুষের মূল্যবান সময়ের অপচয় রোধ করা এবং জন দুর্ভোগ সৃষ্টি না করা।

সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি টি হলো দেশে হত্যা, গুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে দেশের জনসংখ্যা কমিয়ে, জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা।

সন্ত্রাসী প্রশাসন বা বৈধ সন্ত্রাস এরা সরকারের নির্দেশ গুম খুন করে, এবং গুম খুনের সহায়তা করে। বিভিন্ন সময় জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে অপকর্মের স্বীকারোক্তি আদায় করেন। এবং প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করে মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেন।

সরকারের নেতাকর্মীরা, চাদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, গুম এধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন। এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, সেখানে বেগম পাড়া সহ বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন যা বিশ্বদরবারে আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।

সাধারণত মানুষের অবস্থা

 
ভোটাধিকার হারিয়ে জনগণ এখন ভাড়াটিয়া, তাই তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের সম্পদ লুটপাট করা, মালিক পক্ষ বা সরকারি দলের অধিকার। সন্ত্রাস বাহিনীর অন্যায় অত্যাচারের স্বীকার হয়ে সবকিছু হারিয়ে আইনের কাছে আশ্রয় চাইলে, সন্ত্রাসী প্রশাসন উল্টো মামলা দিয়ে স্থায়ীভাবে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়। কখনো ফাসিতে ঝুলে মরতে হয়, কখনো চার দেয়ালের মধ্যে অবহেলা, নির্মম অত্যাচার সহ্য করে, মিথ্যা অপবাদ নিয়ে ধুকে ধুকে মরতে হয়।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন জনগণের নাগালের বাইরে। কারন এই উন্নয়ন জনগণের কল্যানের জন্য নয়, বরং জনগণকে চুষে নিয়ে, বা জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ্এ উন্নয়ন শোষকের বিলাসীতার উন্নয়ন। তাই আসুন আ্মরা সাধারন মানুষ দল, মত নির্বিশেষে আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য একসাথে এক কন্ঠে বলি “উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই”

২৪ নভেম্বর, ২০২১

স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা স্বাধীনতা চাই

স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা স্বাধীনতা চাই

স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা স্বাধীনতা চাই


স্বাধীনতা প্রতিটি জাতির গৌরবের, আনন্দের এবং স্বরণীয় দিন। কারন স্বাধীনতা আমাদের মুক্ত, স্বাধীন এবং সম্মান নিয়ে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। এজন্য আমরা সাত কোটি মুক্তিযোদ্ধা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ বীরাঙ্গনা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই। এবং এই দিনটি আমরা বিষেশভাবে উৎযাপন করি।

আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন করছি, তখন আমাদের স্বাধীনতাই বিলুপ্ত, পড়ে আছে শুধু চেতনা। কেনো ৭ কোটি মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিলো, কেনো ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিলো, কেনো দুই লক্ষ মা বোন ধর্ষিতা হলো, শুধুমাত্র একটি পরিবারের গোলামী করার জন্য, এই কি আমাদের স্বাধীনতা? 

কেনো আজও আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে হয়, কেনো সুবিচারের দাবিতে আমাদের আজও মিছিল করতে হয়, কেনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য আজও আমাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। কেনো আজো আমার মা বোন ধর্ষিত হয়, কেনো আজো আমাদের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়, কেনো অর্থের অভাবে একজন বিজিবি সদশ্যকেও ( সোহরাব হোসাইন চৌধুরী ) আত্মহত্যা করতে হয়, কেনো নেই কোনো জনগণের কথা বলার অধিকার? 

নেই তার কোনো কোনো উত্তর, নাই কোনো বিচার, নাই কোনো প্রতিরোধ, নাই কোনো প্রতিকার। সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করলেই হয় বিএনপি, জামাত, রাজাকার। এটি আজ মুসলমানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই শিবির বলে হিন্দু বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়েছে। হিন্দু মহাজোটের নেতা গোবিন্দ প্রামাণিককেও জামাতের নেতা কর্মী বলে ঘোষনা করা হয়। কারন দেশে আজ কোনো স্বাধীনতা নেই আছে শুধু চেতনা, আজ নেই কোন স্বসস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা, আছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাস আর নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙ্গালী।

স্বাধীনতার চেতনাকে পুজি করে কেউ একাধারে ৩ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী, কেউ শতো শতো কোটি টাকার মালিক, কারো কারো রয়েছে উন্নত দেশে বিলাশবহুল বাড়ি, গাড়ি এবং বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। আর আমাদের দেশের মানুষ উন্নয়নের গল্প শুনছে, ফাঁসিতে ঝুলছে, গুম, খুনের স্বীকার হচ্ছে, নারীরা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে, মানুষ অধ্যাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছে, ঋণে দায়ে জর্জরিত হয়ে  আত্মহত্যা করছে।

চেতনা ব্যাবসায়ীরা আমাদেরকে স্বাধীনতার চেতনা দিয়ে, নিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। তাই তারা স্বাধীনভাবে লু্টপাট, গুম খুন করেই যাচ্ছে, বেহায়া, নির্লজ্জের মতো উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছেন। সাধারন মানুষকে দমিয়ে রাখছেন। সাধারন মানুষের দূর্দশার কথা অস্বীকার করে বলছেন। আজ আর দেশে কোন অভাব নেই, সবাই খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। জিনিস পত্রের দাম যতোই বাড়ুক কেউ কিন্তু না খেয়ে মরছে না।

যেখানে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই, আদালতে বিচার নেই, বিচার চাইলে নিকৃষ্টভাবে ভেংচি কাটা হয়। যেখানে মানবধিকার লঙ্ঘিত, সেখানে কিসের স্বাধীনতা, কিসের স্বাধীনতার চেতনা। তাই আসুন আমরা একাত্তবের মতো দল মত নির্বিশেষে সবাই এক হই, এক কন্ঠে বলি আমরা স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা আমাদের স্বাধীনতা চাই।

২২ নভেম্বর, ২০২১

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস

ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার সময়ের উপযোগী  আবিষ্কার হল কম্পিউটার। বর্তমানে কম্পিউটারের নানাবিধ ব্যাবহার হলেও এর শুরুটা হয়েছিল একটি গণনা যন্ত্র হিসেবে। কম্পিউটার (Computer) শব্দটি গ্রিক "কম্পিউট" (compute)শব্দ থেকে এসেছে। Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (Computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কালেব বিবর্তনে কম্পিউটারের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে, এবং এর বহুমুখী ব্যবহার বা ব্যাবহার কারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা ব্যাবস্থা, ব্যাবসা বানিয্য, তথ্য প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গবেষণার কাজে কম্পিউটার ব্যাবহার হচ্ছে। যা আমাদের দৈনিন্দন জীবনের কঠিন কাজগুলোকে করেছে সহজ, আমাদের জীবনকে করেছে গতিশীল।

ইতিহাসঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার তৈরির ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালের মানুষ একসময় সংখ্যা গণনা করতে ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়।এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গণনা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।

অ্যাবাকাস (Abacus)

১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি অথবা দন্ড ব্যবহার করেন। এসব দন্ড জন নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত। ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। ১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের পরিমার্জন করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)

উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)। এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারণা লাভ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই তিনি শেষ করতে পারেননি। 

অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন

কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার (এনিয়াক)

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। তখন থেকে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি। আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কমপ্যাটিবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় এ ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একই সময় আই.বি.এম কোম্পানির পাশাপাশি অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেট (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। কিন্তু অ্যাপল কোম্পানি তাদের কমপ্যাটিবল কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে কোনোরূপ উদারতা প্রদর্শন না করায় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য থেকে যায় অত্যধিক বেশি, যার ফলে অ্যাপল তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি। তবে বিশেষ ধরনের কিছু ব্যবহারিক সুবিধার কারণে মূলত মুদ্রণ শিল্পে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো।

পার্সোনাল কম্পিউটার

প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন, প্রসার এবং কল্যানে। কম্পিউটারের সহজলোভ্যতার কারনে আমরা সকলেই কম্পিউটার ব্যাবহার করে থাকি। কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জটিল কাজ সহজে করতে পারি। কাজ করার পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও কম্পিউটারের ভূমিকা কম নয়। বর্তমানে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা কমবেশি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কম্পিউটার ব্যাবহার করি বা কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে থাকি। এ কথা বলা চলে যে কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন অসম্ভব।

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা



মিরপুর শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে পাকিস্তানিদের পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়। সকল বিতর্কের মুখে মাটি দিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একি? সেখানে পাকিস্তানিদের সাপোর্ট করেন বাংলাদেশি দর্শক এবং পাকিস্তানি পতাকা উড়ালেন বাংলাদেশের জনগণ।

এ নিয়ে ক্ষোভ বাংলাদেশি কিছু ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদের। মাশরাফি বিন মর্তুজা আক্ষেপ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে গতকাল লেখেন, ‘খেলার সাথে কোনো কিছু মেলানো যায় না এটা ঠিক, কিন্তু খেলাটা যখন আমাদের দেশে আর খেলছে আমাদের দেশ, সেখানে অন্য যে দেশই খেলুক না কেন, তাদের পতাকা তাদের দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ উড়াবে, এটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। যে যাই বলুক, ভাই দেশটা কিন্তু আপনার।’

এখানেই শেষ নয় নতুন করে উৎপত্তি হলো বা জানান দিলো ‘পাকিস্তানী দালাল রুখবে তারুণ্য’ নামের একটি সংগঠন। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের কেউ পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে আসলে এবং পাকিস্তানের জার্সি পরে আসলে তা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে ্এই সংগঠন।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের আগে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মিরপুরে তারা অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হামজা রহমান অন্তর।

তিনি জানান, ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষাধিক মা-বোনের আর্তনাদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার শত্রু যারা আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি, ক্ষতিপূরণ দেয়নি, যারা আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে তাদের হয়ে এদেশীয় দালাল গোষ্ঠীকে ৭১ এর মতোই প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।

যেখানে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভূট্টো খাঁনকে আমন্ত্রণ করে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। সেখানে এরা পাকিস্তানি জার্সি এবং পতাকা প্রতিরোধ নিয়ে ব্যাস্ত। স্বাধীনতা যুদ্ধ কি শুধুমাত্র পতাকার জন্য হয়েছিলো? না কি গনতন্ত্র, মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য হয়েছিলো। যতি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের এই প্রতিরোধ কি স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত হবেনা।

ইতোপূর্বে এমন আরো কিছু সংঘটন আমরা দেখেছি যাদের কোন বৈধতা নেই। যারা জনগনের অধিকার আদায়ে লক্ষে কাজ করে এই ধরনের দলগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য এই সংগঠন গুলো কাজ করে। আদৌ তাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে সম্পর্ক রয়েছে কি না? তা নিয়ে নেই কোনো তদন্ত বা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনি এবং সরকারী দলের মাথা ব্যাথা। তবুও এই সংগঠন গুলো হামলা মামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যে কারনে এই সংগঠনগুলোকে সরকারি সন্ত্রাসী বাহীনি বা সংগঠন বললে ভুল হবে বলে আমি মনেকরি না।
বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা

বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা

বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা


মিরপুর শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের মতো অনুশীলন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে অনুশীলন নয় আলোচিত হচ্ছে তাদের পতাকা উড়ানো নিয়ে। যা সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবং বিতর্কিত হচ্ছে বাংলাদেশের কিছু বিতর্কিত দেশপ্রেমিকের কাছে। 

এ নিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, পাকিস্তানীদের এই ঔদ্ধত্যের কারণও আছে। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল; জামায়াত ইসলামী এবং তাদের সহযোগীরা এখনও আছে। তরুণদের মধ্যে তাদের একটা বিরাট প্রভাব আছে। পাকিস্তানের প্রেম আছে। সুতরাং আমি মনে করি, পাকিস্তানকে এব্যাপারে কোয়েশ্চেন করতে হবে, কৈফিয়ত চাইতে হবে এবং তাদের এই ঔদ্ধত্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাদের ক্রিকেট টিমের এই দেশে খেলবার কোনো দরকার নেই। 

আইসিসির নিয়মানুসারে কোনো ইভেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলাকালীন দুই দেশের পতাকা উড়তেই পারে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুশীলনেই সেটা কেন উড়াতে হবে? তা নিয়েই অনেকেরই একটু বেশিই মাথা ব্যথা। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনভর আলোচনা চললেও তাদের এমন কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস। 

ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’ 

বিশ্বকাপে আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি ছিল পাকিস্তানের। নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিরিজ পাকিস্তানে গিয়েই সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা। এই সিরিজেই পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন সাকলায়েন মুশতাক। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে অনুশীলনে জাতীয় পতাকা রাখেন। 

এতো কিছুর পরও পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে কেউ ক্ষমাও চাননি এবং কোনো প্রকার দুঃখ প্রকাশ করেন নাই। তবুও তারা বাংলাদেশের মাটিতে খেলেন। এবং বাংলাদেশি মানুষের প্রচুর সমর্থন পান। মিরপুরের গ্যালারিতে পাকিস্তানি দর্শকদের পাশাপাশি বাংলাদেশি দর্শকদের হাতেও পাকিস্তানি পতাকা দেখা গেছে।

যদিও খেলাধুলা একটি ভিন্ন ব্যাপার, খেলাধুলার জয় পরাজয় দেশের স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবুও অনেকেই দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে স্বাধীনতার শত্রু বলে আখ্যায়িত করে অন্যায় অত্যাচার করে নিজেদের সার্থ রক্ষা করেন এবং দমন পীড়ন চালিয়ে যান। 

বর্তমান বাংলাদেশের বিপরীতে পাকিস্তানের বিতর্কিত ম্যাচে বাংলাদেশি দর্শকদের পাকিস্তানিদের এমন সমর্থন ক্রিকেট বোর্ডের অনিয়ম দূর্নীতি, ভোট বিহীন নির্বাচন, অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের উপর জনগণের ক্ষোভ বা অসন্তোষের কারণ বলে আমি মনেকরি।

২০ নভেম্বর, ২০২১

ইসলাম, বিজ্ঞান ও ভ্রান্ত ধারণা

ইসলাম, বিজ্ঞান ও ভ্রান্ত ধারণা

ইসলাম, বিজ্ঞান ও ভ্রান্ত ধারণা


বিজ্ঞান যা মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন বা সহজ করেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের চলার পথে প্রতিটি কাজে কমবেশি জেনে বুঝে বা না জেনে না বুঝে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করি।

বিজ্ঞান নিয়ে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যেমন অনেকে মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ধারণাটি সম্পূর্ণ  ভুল, কারণ বিজ্ঞান কোরআনের একটি অংশ। কোরআন হলো পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান এবং পথ প্রদর্শক। কিছু মুসলমানের ধারণা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আধুনিকতা মানুষের ইমান নষ্ট করে মানুষকে কাফির বা নাস্তিকে পরিণত করে। 

এই ভুল ধারনা থেকে আমরা মুসলমানরা বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, ফলে আমরা বিধর্মীদের থেকে পিছিয়ে পরছি এবং তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। তারা সহযোগীতার নামে অথবা সহযোগীতা করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে এবং আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

বিজ্ঞান এবং কোরআনের জ্ঞান কখনোইে একে অপরের সাংঘর্ষিক নয়। বিজ্ঞান চর্চা এবং তার সঠিক ব্যাবহার মানুষের কল্যাণ এবং ইসলামের আলো প্রতিটি স্থানের কোনায় কোনায় দ্রুত ছড়িযে দিতে পারে। মুসলমানদের ভুল ধারনা এবং অবহেলার কারনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন ইযাহুদী খ্রিষ্টানদের হাতে। তাই বিজ্ঞানের ব্যাবহার এখন বিপরীতে।

আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা এবং বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রায় মুসলমান বিজ্ঞানীদের ভুমিকা এবং গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যেমনঃ  রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস সর্বত্র ছিল তাদের অগ্রণী পদচারণা। বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। সেসব আবিষ্কার ও গবেষণার আধুনিকরণ ঘটেছে, তার সুফল ভোগ করছে আজকের বিশ্ববাসী।

ক্যামেরা: প্রাচীন গ্রীকরা মনে করতো যে, আমাদের চোখে লেজার রশ্মির মতো আলোকরেখা রয়েছে। যা আমাদের দেখতে সাহায্য করে। দশম শতাব্দীতে মুসলিম গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী ইবনে আল-হাইতাম সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন যে, চোখ থেকে যতোটা আলো বেরোয় তার চেয়ে বেশি আলো চোখে প্রবেশ করে। আলো উইন্ডো শাটারের মাধ্যমে একটি বিন্দুতে প্রবেশ করতে পারে, এটি বুঝতে পারার পর তিনি প্রথম পিনহোল ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। আল-হাইতাম বুঝতে পারেন যে, বিন্দু যতো ছোট হবে ছবি ততো ভালো হবে। এ উপলব্ধি থেকে তিনি প্রথম অবসকিউরা (ডার্করুম) স্থাপন করেন। একটি পরীক্ষণের মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার দার্শনিক রূপ তুলে ধরার জন্য তিনি বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী।

রসায়ন শাস্ত্র: ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইসলামের সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান ডিস্টিলেশন অর্থাৎ সিদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরল পদার্থের একটিকে আরেকটি থেকে পৃথক করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। জাবিরই অনেক মৌলিক প্রক্রিয়া ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে আলকেমিকে কেমিস্ট্রি বা রসায়ন শাস্ত্রে রূপ দেন। তার আবিষ্কৃত তরলীকরণ, স্ফটিকীকরণ, সিদ্ধকরণ, শুদ্ধকরণ, অক্সিজেনের সাথে যুক্তকরণ, বাষ্পীভবন ও ফিল্টারেশন প্রক্রিয়া এখনো বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করা হয়। সালফিউরিক ও নাইট্রিক অ্যাসিড আবিষ্কারের পাশাপাশি তিনি চোলাইযন্ত্র আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে বিশ্বের সর্বত্র তৈরি হচ্ছে গাঢ় গোলাপ জল, বিভিন্ন সুগন্ধি দ্রব্যাদি ও অ্যালকোহল (যদিও ইসলাম ধর্মে এটি হারাম)। জাবির ইবনে হাইয়ান সঠিক প্রক্রিয়া অনুসারে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতেন। রসায়ন শাস্ত্রের জনক হিসেবে তার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।

রকেট: বারুদ তৈরিতে ব্যবহৃত নোনতা গানপাউডার চীনারা আবিষ্কার করে আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু আরবরা সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য গানপাউডার বিশুদ্ধকরণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছিল। ক্রুসেড যুদ্ধে মুসলিমদের আবিষ্কৃত আগ্নেয়াস্ত্র প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতির সঞ্চার করে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে মুসলিমরা রকেট (যাকে তারা বলতো স্বয়ংক্রিয় দাহ্য ডিম) এবং টর্পেডো (নাশপাতি সদৃশ সম্মুখে অগ্রসরমান বোমা, যার অগ্রভাগ ছিল বর্শার মতো) আবিষ্কার করে। টর্পেডো শত্রুজাহাজকে ধ্বংস করে অদৃশ্য হয়ে যেতো।

চিকিৎসা সরঞ্জাম: আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে অপারেশন করার জন্য যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, তার অনেকগুলোই দশম শতাব্দীতে মুসলিম শল্যবিদ আল-জাওয়াহিরির উদ্ভাবিত দ্রব্যাদির মতো। তার উদ্ভাবিত হালকা ছুরি, অস্থি কাটার ছুরি, ছোট সাঁড়াশি, চোখের অপারেশনে ব্যবহৃত সূক্ষ্ম কাঁচিসহ ২০০ প্রকার শল্যচিকিৎসার যন্ত্রপাতি আধুনিক যুগের যে কোন শল্যবিদের অতি পরিচিত জিনিস। তিনিই প্রাকৃতিকভাবে অদৃশ্য হয়, এমন সুতা আবিষ্কার করেন। যা অপারেশনের পর সেলাইয়ের জন্য সার্জনরা ব্যবহার করে থাকেন। ক্যাপসুল তৈরির জন্যও এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া উইলিয়াম হার্ভে রক্ত পরিসঞ্চালন পদ্ধতি আবিষ্কারের ৩০০ বছর আগেই ইবনে নাফিস নামে এক মুসলিম মেডিকেল ছাত্র এ প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, আফিম ও অ্যালকোহলের মিশ্রণের মাধ্যমে যে চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়, তা-ও আবিষ্কার করেন মুসলিম চিকিৎসকরা। তারা নীডলেরও উন্নতি সাধন করেন, যা ছোখের ছানি অপসারণে আজও ব্যবহৃত হচ্ছে।

এছাড়াও মুসলমানদের আরো অনেক বিষ্ময়কর আবিষ্কার রয়েছে যা আমাদের জীবনকে করেছেন সহজ আনন্দময় যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি। বা যার প্রভাব আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমরা তার কল্যাণ বা সুফল এখনো ভোগ করে যাচ্ছি।

১৮ নভেম্বর, ২০২১

Bangladesh Railway Job Circular - 2021

Bangladesh Railway Job Circular - 2021

বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকুরির বিজ্ঞপ্তি - ২০২১


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ের মার্কেটিং ও কর্পোরেট প্লানিং বিভাগ হতে ১৪ নভেম্বর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে পয়েন্টসম্যান ( গ্রেড-১৮ ) পদবীতে ৭৬২ টি শূন্য আসনে যোগ্য কিছু জনবল প্রয়োজন। HSC অথবা HSC সমমানের ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি সকল নাগরিক উক্ত পদবীর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।

আবেদন শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২১ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন নোটিশটি পড়ুন এবং আগ্রহী প্রার্থীগন আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ http://br.teletalk.com.bd



১৭ নভেম্বর, ২০২১

যে ভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই বড়লোক হচ্ছি

যে ভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই বড়লোক হচ্ছি

যে ভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই বড়লোক হচ্ছি


অর্থনীতি শাস্ত্র একটু বেশিই জটিল, এখানে বিভিন্ন পরিভাষা এবং নিয়ম নীতি রয়েছে। যা একজন অর্থনীতিবিদ সবচেয়ে ভালো বোঝেন। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরাও কম নয়, সাদা কালো উপার্যনের অগাধ অর্থ হিসাব করতে করতে তারাও এখন অর্থনীতিবিদ। কজন অর্থনীতিবিদ নিজের টাকার হিসাব করে এবং সেগুলো লোকচক্ষুর আড়ালে নিরাপদে রাখতে পারে।

এখন অর্থনীতি এবং অর্থনীতিবিদের সংগা পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে যারা জনগনের ধন সম্পদ লুটেপুটে যারা ধনসম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন তারাই বড় অর্থনীতিবিদ। তাদের কাছে অর্থনীতির উন্নয়ন জনগনের কল্পনাতীত। অর্থনীতির এ উন্নয়ন আজ দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের অর্থ। সেখানে গড়ে উঠছে বিলাশবহুল হোটেল এবং বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।

সামগ্রীক বিষয়টি বিবেচনা করা হলে বাংলাদেশর অর্থনীতির উন্নয়ন এবং প্রসার ঘটেছে। যার প্রভাব আমাদের মাথাপিছু আয়েব মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় হলো আমাদের মোট আয়ের গড়, যা আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন প্রকাশ করলেও জনগন তার ফল তখনি ভোগ করবে যখন অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধ এবং বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে।

অর্থনীতিবিদ দের মতে অর্থনীতিঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য বা সেবা উৎপাদন করে, তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিএনপি বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন বা আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বা আয় অন্তর্ভুক্ত হবে।

রাজনীতিবিদ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মতেঃ আমাদের মাথাপিছু আয় বড়েছে। আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শনৈ শনৈ বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাত পোহালেই আয় বাড়ছে বাংলাদেশের, আমরা টেরই পাচ্ছি না। আমরা অজান্তেই বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘তবে বড়লোকের বড়লোকি কিছু রোগও হয়, সেই রোগ থেকে যেন আমরা মুক্ত থাকি।

সাধারণত মানুষ বড়ো লোক হয়ে পেটে ক্ষুধা নিয়ে ধনসম্পদ খুজছেন। এটা গরীবের বড়লোকি রোগ। আর কেউ কেউ টাকার এবং ক্ষমতার দাপটে কুলাঙ্গারের মতো যা খুশি করছে এবং গাজাখুরি বক্তব্য দিচ্ছে। এটা হলো কিছু কিছু রাজনীতিবিদ দের উন্নয়ন।

আমাদের দেশে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, এটি একটি স্বংয়সম্পূর্ন দেশ। দেশের সম্পদ এবং জনশক্তির সঠিক ব্যবহার আমাদের সত্যিকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বাদ দিতে পারে। কিন্তু কিছু অসৎ দুর্নীতিবাজ অমানুষ এই সম্পদ নিজেরা লুটপাট করে খাচ্ছে বাকিটা বিদেশে পাচার করছে। জনগণকে তাদের দূর দশার কথা বলার সুযোগ না দিয়ে জনগণকে নামে বড়লোক বানিয়ে দিচ্ছেন। আর কেউ যদি দূর দশার কথা জানিয়ে সরকারের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে, তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অমানবিক নির্যাতন এবং শাস্তি প্রদান করছেন।

কেউ নিরবে অধ্যাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, কেউ প্রতিবাদ করে খুন হচ্ছেন, কেউবা নিজে নিজেই আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই। রাজনীতিবিদগণ জনগণের টাকায় পেট ভরিয়ে মনের সুখে উন্নয়নের গান গাচ্ছেন আর বিদেশে টাকা পাচার করছেন।

যাইহোক সামান্য ইউপি নির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচুর পরিমাণে আসন দখল করার পরেও ৭০-৮০ জনের বেশি মানুষের জীবন যাওয়া সেটা সাধারণ ঝগড়া ঝাটি। বড়ো মনমানসিকতা এবং উন্নয়নশীল দেশ ছাড়া এটা কখনো হতে পারে না।

১৬ নভেম্বর, ২০২১

PSC নন-ক্যাডার চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি ২০২১

PSC নন-ক্যাডার চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি ২০২১

PSC নন-ক্যাডার চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি ২০২১

বাংলাদেশ কর্ম কমিশন সচিবালয় থেকে ১০ কার্তিক ১৪২৮ ইংরেজীর ২৬ অক্টোবর ২০২১ bpsc নন ক্যাডার চাকুরীর ৮০-১৪৭ টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।২৮ অক্টোবর ২০২১ থেকে ২৫ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীর যোগ্যতা হিসেবে অবশ্যই BSC বা যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ব বিদ্যালয় হতে কৃতকার্য হতে হবে। অতবা ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স complet থাকতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীগন এই লিংকে http://bpsc.teletalk.com.bd/ncad/apply.php ক্লিক করে সার্কুলার নং ৮০ থেকে ১৪৭ নাম্বার সিলেক্ট করে আপনার পছন্দের পদবীর জন্য আবেদন করুন। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন নোটিশ টি পড়ুন।

১০ নভেম্বর, ২০২১

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-৩

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-৩

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-৩


এই পোস্টটিতে অসামাজিক ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে। তাই নিজ দায়িত্বে পড়বেন। না পড়লে এড়িয়ে যাবেন। দয়াকরে বিরূপ মন্তব্য এবং পরবর্তী ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করবেন না।

ডা. মুরাদ বা টাকলা মুরাদ যাকে দেখলে ইচ্ছা করে ওর টাক জুতা দিয়ে পিটিয়ে ফাটিয়ে ফেলি। হ্যাঁ আমি জঙ্গি হ্যাঁ আমি মৌলবাদী, কারণ ইসলামের অপমান, নবীর অপমান আমি সহ্য করতে পারিনা।

এই টাকলা মুরাদ ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে। আবার বলে আমি ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিনি, বলতে পারিনা। আমার কথায় সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে যারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে তারা।

আমি আবারো ভাষা খারাপ করতে বাধ্য হচ্ছি এই টাকলা তোরা কি মুখ লুকিয়ে গুয়া এগিয়ে দিয়ে মজানিস, কে তোদের চুদছে তার খোঁজ নেয়ার কি কোনো প্রয়োজন মনে করিস না? তোর ইসলাম বিরোধী কথার একমাত্র দরবেশ সুমন ছাড়া বাংলাদেশের আর কি কেউ তোকে সমর্থন করেছিলো?

টাকলা তুই আবারো বলেছিস এই দেশের মালিক শেখ মুজিব, এই দেশের মালিক শেখ হাসিনা। এইটা কোন সংবিধানে লেখা আছে, তোর কোন বাপ তোকে এই শিক্ষা দিয়েছে। তোর কথায় কি আমরা বুঝে নিব একটি ছেলে একটি মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে যেমন সন্তানের জন্ম হয়, তেমন করে একাত্তরে শেখ মুজিবকে পশ্চিম পাকিস্তানে তুলে নিয়ে গুয়া মারার ফলে কি বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।

এই টাকলা ধর্ম কারা বেচে খায়, তোরা কেনো ইসলাম বিরোধী কথা বলিস, তা কি জনগণ জানে না? ইসলাম ধর্মকে বিধর্মীদের কাছে ছোটো করে তোমরা নিজেদের পকেট ভরাও তা কি আমরা জানি না। এই বিষয় না হয় বাদই দিলাম, তোমরা কি জিয়া বিমানবন্দরকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বানাও নি?

প্রয়োজনে তোমরা সবই পারো হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গতে, মুসলমানদের জঙ্গি সাজাতে। তোমরা কোনো ধর্মের নয়, কোনো জাতির নয় তোমরা সমগ্র মানবজাতির শত্রু।

টাকলা তোমার কাছে প্রশ্ন

কেনো ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবেনা রাজনীতি কি নাপাক বা হারাম কোনো কিছু, নাকি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলে জনগণের জান মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় না?

কেনো রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা যাবেনা, দেশে কি বেশ্যাবৃত্তি, গুম, ঘুন, ধর্ষণ, সুদ, ঘুষ বৈধ করতে চাও? যে দেশে জনসংখ্যার বেশির ভাগ মুসলিম সে দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না হলেও, আওয়ামীলীগে যে পরিমাণে ইসলাম বিরোধীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ কিন্তু ঠিকই ইসলাম বিরোধী দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

কেনো সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা যাবেনা, সংবিধান কি কোনো চটি গল্পের বই?

তোমার বাবা আসলে কে? শেখ মুজিব নাকি অন্য কেউ জাতির কাছে স্পষ্ট বলো। আর তোমরা বাবা যদি একজন হয় তাহলে পোস্টটি তোমার কাছে পৌছালে অবশ্যই উত্তর গুলো দিবা।

০৯ নভেম্বর, ২০২১

আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে

আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে

আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে?



কিছু দুর্নীতি গ্রস্ত অমানুষ, আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে আলেম ওলামারা টুপি পড়ে দাড়ি রেখে ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে। এখানে নবীর সুন্নতকে অবমাননা করা হয়েছে। এবং দাড়ি রাখতে এবং টুপি পড়তে মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আর ধর্ম ব্যাবসার কথা বলে ইসলাম ধর্মের চর্চা এবং ইসলামকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ধর্ম ব্যাবসা বলতে তারা মনে করেন মুসলমানদের কাছ থেকে দুই, এক টাকা করে সংগ্রহ করে নামাজ পড়ানোর জন্য ইমামকে হাদিয়া প্রদান করা। সোজা কথায় নামাজ পড়িয়ে ইমাম সাহেব যে উপার্জন করে। মোক্তব, মাদ্রাসা, ইয়াতিম খানা এবং সকল মুসলমানদের দ্বীনের শিক্ষা দিয়ে আলেম ওলামারা যে উপার্জন করেন তাই ধর্ম ব্যাবসা।

আসলেই কি তাই? স্কুল কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক রা কি বেতন নেয় না? অবশ্যই নেয়, তাহলে কি তারা শিক্ষা ব্যাবসায়ী? বিচারপতি আইনের ধারা অনুযায়ী বিচার করে তার পারিশ্রমিক কি নেন না? অবশ্যই নেন, তাহলে কি তিনি আইন ব্যবসায়ী? আর আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের মিথ্যা বুলি এরিয়ে জনগণের টাকায় খাচ্ছেন, এবং বিদেশে টাকা পাচার করছেন, আপনি নিশ্চয়ই গনতন্ত্র ব্যাবসায়ী।

আলেম ওলামারা যাকাত ফেতরা, দান ছদগা করতে বলে এইটাই কি তাদের অপরাধ। আচ্ছা কোন আলেম বিদেশে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তার কি কোনো নজির আছে? কিন্তু আপনাদের আওয়ামীলীগের একজন পাতি নেতারো দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার নজির আছে।

এতো কিছু থাকতে আওয়ামীলীগ কেন ইসলাম ধর্মের এবং আলেম ওলামাদের পিছনে পড়ে থাকে তার কারণ হলো, ইসলাম সাম্যতার কথা বলে, ধনী-গরীব, সবল দূর্বল সকলের অধিকার নিশ্চিত করে। আর আলেম ওলামা ঘুস, চাদাবাজি, জুলুম কারীদের কোরআন হাদিসের আলোকে ভয়াবহ দুরসংবাদ প্রদান করেন। দ্বীনের পথে ফিরে আসার আহবান জানান। এতে তাদের উপার্জন কমে যায়, এবং পদে পদে বাধাগ্রস্ত হন। তাই তারা আলেম ওলামা এবং মুসলমানদের তাদের পথের কাঁটা এবং সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করেন।

আপনারা (আওয়ামীলীগ/ইসলাম বিরোধীরা) নিজেরা যেমন, সবাইকে তাই মনে করেন। যার কুফল শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ভোগ করতে হয়। জনগণ তা বুঝে।

০৭ নভেম্বর, ২০২১

সবকিছুরই দাম বাড়ছে কমেছে শুধু মানুষের জীবনের দাম

সবকিছুরই দাম বাড়ছে কমেছে শুধু মানুষের জীবনের দাম

সবকিছুরই দাম বাড়ছে কমেছে শুধু মানুষের জীবনের দাম


সবকিছুরই দাম বাড়ছে কিন্তু কমছে শুধু মানুষের জীবনের দাম। কিভাবে? পন্য সামগ্রীর দাম কি মানুষের জীবনের দাম নির্ধারণ করে, তা না হলে কেন পন্যের দাম বেড়ে গেলে জীবনের দাম কমবে? আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন।

চাকরি যেনো সোনার হরিণ, বেকারত্বের চেয়ে চাকরির সংখ্যা কম হওয়ায় চাকরি পাওয়া যেনো দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে দুষ্প্রাপ্য বস্তু। কারণ তা ধনী ও প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি হওয়া সৌখিন বা বিলাসীতার বস্তু। ঘুস ছাড়া চাকরি যেনো কল্পনার বাইরে। বিক্রি হওয়ার বিষয়টা তো বুঝলেন এখন সৌখিন বা বিলাসীতা, ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার পর সে নিজের বা ঐ পদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে কতোটা অবগত, বা কতোটা দায়িত্ব পালন করেন তা আমরা সবাই জানি।

এইবার আসি ব্যাবসায়, আমরা যারা চাকরি না পেয়ে ব্যাবসার পথে পা বাড়াই তাদের প্রতিটি পদে পদে আইনি এবং বেআইনি ভাবে চাদাবাজির স্বীকার হতে হয়। যার কারণে বেশিরভাগ সময় লাভতো দূরের কথা মূলধনই গায়েব হয়ে যায়।

এবার চাকরি ব্যাবসা বাদ দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপারে কথা বলি। দিনের পর দিন আমাদের দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবুও সবাই চুপ, কিন্তু হঠাৎ করে গত শুক্রবার ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঠে নেমেছেন বাস, ট্রাক, লঞ্চ ইত্যাদির মালিক শ্রমিক সমিতি। তাদের দাবি ভাড়া বাড়াতে হবে। তাদের দাবি পূরন হলো গাড়িভাড়া বৃদ্ধি করা হলো। যাইহোক জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

এখন তাহলে জানা যাক ডিজেলের দাম কেনো বাড়লো, এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন ডিজেলের দাম প্রতিবেশী দেশের চেয়ে কম তাই ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমাদের দেশে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে লিটার ৮০ টাকা আর কলকাতায় ১২১ টাকা। তাহলে কেনো ঢাকা চট্টগ্রামের দূরত্ব  ২৬৫ কিলোমিটার। এসি বাসের ভাড়া ১২০০ টাকা। (আরো কম বেশীও আছে, যে যেমন পারে!) আর কলকাতা থেকে পূরী সড়ক পথে ৫০৫ কিলোমিটার। এসি ভলভো বাসের ভাড়া ৭০০ রুপি। বাংলাদেশী টাকায় ৮০৯ টাকা। এই বিষটি কি জনগণ বোঝেনা, আর বুঝলে কেন প্রতিবাদ করেনা?

ঠিক এখনি জানতে পারবেন কেনো মানুষ প্রতিবাদ করেনা আর কিভাবে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ে এবং মানুষের জীবনের দাম কমছে আমাদের দেশে।
আচ্ছা বলুনতো অসঙ্গতিপূর্ণ ভাবে পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ যদি প্রতিবাদ এবং আন্দোলন করে তাহলে কি হবে? আমরা কেউ ভবিষ্যতের কথা জানিনা তবে অতীতের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ধারণা করতে পারি। আমরা অতীতে দেখেছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করায়

  • হেফাজত ইসলামের ওপর গুলি চালিয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল এবং সমস্ত বিষয়টি গোপন করা হয়েছিল।
  • কিছুদিন আগে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
  • তাছাড়াও যারা প্রতিবাদ করে তাদেরকে রাজাকার বলে ঘোষণা করে হয়রানি এবং গুম খুন করা হয়।

তাহলে এখানে কি দাড়ায় জনগণ তার প্রতিবাদের অধিকার হারিয়েছে কারন তাদের জীবনের মূল্য অনেক কমে গেছে। তার জন্যই খেয়াল খুশিমতো দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রমাগত বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে। 

এখানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনের মূল্য কম, এদের একে অপরের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এই দুইটি বিষয় বাংলাদেশের শাসন, বিচার, অনিয়ম দুর্নীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

০৫ নভেম্বর, ২০২১

মনোয়ার আলী মনু-পর্দার আড়ালের এক মহানায়কের গল্প

মনোয়ার আলী মনু-পর্দার আড়ালের এক মহানায়কের গল্প

মনোয়ার আলী মনু-পর্দার আড়ালের এক মহানায়কের গল্প



বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম! কথাটা শুনলেই বুকের মাঝে কেমন একটা অদ্ভুত অনুভুতি তৈরি হয়! তাই না? গ্যলারী ভর্তি দর্শক, সবার মুখে বাংলাদেশ-বাংলাদেশ প্রতিধ্বনি! যেন ১৮ কোটি বাঙালির ক্রিকেটীয় আবেগ-ভালোবাসার পরশ, ওরা ১১জন মিলে ছড়িয়ে দিচ্ছে পুরো বিশ্বদরবারে।

হ্যা, পুরো বিশ্ব এখন আমাদের ক্রিকেট টিম কে চেনে, জানে ক্রিকেটের প্রতি আমাদের আবেগ, ভালোবাসার যায়গা কতটা বড়! এটাও যানে যে  আমাদের ক্রিকেটার রা কতটা পরীশ্রম করে  আজ এই যায়গাতে পৌছেছে!!

তবে, প্রতিট মুদ্রার ই তো দুইটা পিঠ থাকে, বাংলাদেশ ক্রিকেটর এ-পিঠের কথা পুরো বিশ্বদরবার জানলেও, ও-পিঠের কথা কয়জন ই-বা জানে??

হ্যা, আজকে আপনাদেরকে শোনাবো মুদ্রার ও-পিঠের একজন ক্রিকেটীয় মহানায়কের কথা, যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটে পর্দার আড়ালে থেকেই নিজের সবটুকু ভালোবাসা, সু-শ্বাসন, সুশিক্ষা দিয়ে  গড়ে তুলেছেন- মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী মিরাজ, আল-আমীন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান সহ অসংখ্য  প্রতিভাবান ক্রিকেটারদেরকে। হ্যা আজকে আপনাদেরকে শোনাবো এমনই একজন মানুষের গল্প, যিনি খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট কে নিজে আড়ালে থেকেই এমন এক যায়গায় পৌছে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে- খুলনার ক্রিকেটারদের ছাড়া কোনোভাবেই কল্পনা করা সম্ভব নয়।

এতক্ষন আপনাদেরকে শোনাচ্ছিলাম, খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট কোচ এবং খুলনার সর্বোজয়ী ক্রিকেট কোচিং ক্লাব, ক্লাসিক ক্রিকেট ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা, এস এম মনোয়ার আলী মনুর কথা, যাকে ভালোবেসে সব স্টুডেন্ট মনু স্যার নামেই ডাকে। সদা শান্ত-হাস্যোজ্জ্বল এই যাদুকীয় ক্রিকেট কারীগরের জন্ম ২৬ জুলাই, ১৯৬৯ সালে, খুলনা শহরে।

খুলনার সাধারন এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মনোয়ার আলী মনুর ক্রিকেটে যাত্রা শুরু আশীর দশকে অর্থাৎ ১৯৮২ সালে। তার আগে তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খুলনার ফুটবল দলে খেলতেন। তখন আাসলে ক্রিকেট এতোটা জনপ্রিয় ছিলোনা। মায়ের পছন্দেই মূলত তার ক্রিকেটে আসা। ক্রিকেট শুরু করার পর থেকেই অত্যন্ত সদালাপী ও মিশুক এই ক্রিকেটীয় নায়কের সম্পুর্ন ধ্যান-জ্ঞানের যায়গাতে পরিনত হয় ক্রিকেট, একমাত্র সপ্ন ছিলো নিজেকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখার,কিন্তুু পরিবার ও পরিস্থিতির কারণে ঢাকাতে অবস্থান করতে পারেন নি, যার কারণে খুলনাতেই ক্যারিয়ার থমকে যায়। খুলনা ব্রাদার্স ক্লাবের হয়ে খুলনা লিগে খেলতেন নিয়মিত। 

খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ছিলেন একজন অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে পেস বোলার ছিলেন সাথে চার/পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতেন। পরে ইনজুরির কারণে অফ স্পিন বোলিং শুরু করেন। এছাড়াও মনোয়ার আলী মনু ভালো ফুটবলও খেলতেন। কিন্তু হঠাৎ ভয়ানক এক ইঞ্জুরির কারনে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার থমকে যায়, কিন্তুু যার সব ধ্যান-জ্ঞান ই ক্রিকেট নিয়ে, তিনি কি ক্রিকেট ছাড়া থাকতে পারেন? ইঞ্জুরি থেকে একটু রিকোভার হওয়ার পরেই মনোয়ার আলী মনুর জীবনে নতুন এক ক্রিকেটীয় অধ্যায়ের সুচনা হয়,বাড়ির পাশে একটি স্কুল ছিলো যার নাম “এইচ আর এইচ প্রিন্স আগা খান স্কুল”, সেখানেই প্রথম ক্রিকেট কোচিং করানো শুরু করেন, আর  তারপরই তিনি ধীরে ধীরে কোচ হিসাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে থাকেন।

মনোয়ার আলী মনু, সফলতার খোজে সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তার মা 'আনোয়ারা বেগম' এর কাছ থেকে। নিজ পরিবারের মেলবন্ধন-ভালোবাসা তাকে জীবনের সৌন্দর্য দেখিয়েছে, সাথে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সর্বোপরি সবার সমর্থন ই তার মনে সর্বদা শক্তি যোগায় সর্ব পরিস্থিতেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতি সাধন করে যাওয়ার!

তার জীবনের সবথেকে কাছের বন্ধু, খুলনার প্রয়াত কোচ শেখ সালাহউদ্দিন ছিলেন তার অনুপ্রেরণার আর এক বড় উৎস, প্রীয় বন্ধুকে হারানোর পরে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলেন তিনি, তবে প্রয়াত বন্ধুর সাথে মিলে দুজনে ক্রিকেটের প্রতি যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলেন সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষে আবারো আরো শক্তিশালী ভাবে তিনি ফিরে আসেন ক্রিকেটের ময়দানে।

প্রয়াত ইংলিশ কোচ বব উলমার এর কোচিং দর্শন মনোয়ার আলী মনুর খুব ই পছন্দের ছিলো, ঢাকাতে বিসিবির একটি প্রোগ্রামে তিনি কোচ বব উলমারের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, যেটা আজীবন তার মনে গেঁথে থাকবে। তবে তার পছন্দের বাকি সব কোচ ই বাংলাদেশের।

কোচ হিসাবে নিজেও অবশ্য সকল গুনেই গুনাম্বিত তিনি, স্কিলে যেমনি পারদর্শী, তেমন ই একজন আদর্শ মেন্টর। খেলোয়াড়দেরকে খুব ভালোভাবে রিড করার এক অসামান্য দক্ষতা  আছে এই অসাধারন মানুষটার মাঝে!

ক্রিকেটকেই নিজের জীবন বানিয়ে নেওয়া পর্দার আড়ালের এই মহানায়কের হাত ধরেই খুলনার ক্রিকেটীয় প্রতীভারা নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছেন দূর থেকে দুরন্তর পর্যন্ত।

যেমন, বর্তমানের সেরা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন, ক্লাসিক বয় নুরুল হাসান সোহানের কথা ই বলা যাক, ক্লাসিক ক্রিকেট ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিকে সে ছিলো একজন পেসার, কিন্তুু মনোয়ার আলী মনু, সোহানের মাঝে দেখেছিলেন একজন আদর্শ উইকেট-কিপার হওয়ার সব গুণাবলী, তাই নিজ হাতেই সোহানকে গড়ে তোলেন দেশের সেরাদের কাতারের একজন উইকেট কিপার হিসাবে!

সোহান যখন ই সময় পায়, যখন ই কোনো সমস্যায় পড়ে,সর্বপ্রথমেই সে তার আদর্শ এবং ক্রিকেটীয় গুরু,মনু স্যারের কাছে ফোন দেয়! ঠিক একারনেই গুরুর সবথেকে প্রিয় শিষ্য নুরুল হাসান সোহান।

কাটার মাস্টার ফিজের পেছনেও অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়েছেন বিসিবির এই মাস্টারমাইন্ড কোচ।

মুস্তাফিজুর রহমান যখন প্রথম গুরুর কাছে আসে, তখন নেটে একদম ই ভালো বল করতে পারছিলো না, প্রথম বলটা করেছিলো নেটের বাইরে, কিন্তুু প্রকৃত প্রতিভাকে কিভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে হয়, সেটা বেশ ভালো করেই যানেন মনোয়ার আলী মনু। ঐ দিনের পরে টানা ১৩ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজ হাতে মুস্তাফিজুরের স্পট বোলিং এবং কাটার নিয়ে কাজ করেন তিনি, ফলস্বরূপ  বাংলার ক্রিকেটে আবির্ভাব ঘটে আর এক রত্নের, দা ফিজ!!

নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী মিরাজ, আল আমীন হোসেন, সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার অভিষেক দাশ অরন্য সহ খুলনা ও খুলনার বাইরের নবীন বহু ক্রিকেটারদের ক্রিকেট গুরু মনু স্যারের খুলনা বিভাগের পছন্দের প্রবীন শিষ্যদের তালিকায় আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, জিয়াউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক সহ আরো অনেক ক্রিকেটার। তিনি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে, জাতীয় দলের ২০জনেরও বেশী ক্রিকেটারের সাথে সরাসরীভাবে কাজ করেছেন!!

একজন পিতা যেমন তার সন্তানকে শাসন ও করতে পারেন আবার বুকে জড়িয়েও নিতে পারেন,খুলনা বিভাগের প্রতিটা ক্রিকেটারের সাথে ঠিক তেমনই সম্পর্ক সবার প্রিয় মনু স্যারের। প্রীয় শিষ্যদের সদা বন্ধু তিনি, গভীর থেকে বুঝতে চেয়েছেন সবার আবেগ-ভালোবাসা। বিপদ-আপদ, ভালো সময়, প্রতিটা মুহুর্তেই নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছেন। খারাপ সময়গুলোতে তার বলা কথাগুলো শিষ্যদের যোগায় অসীম আত্নবিশ্বাস এবং মনোবল!

কয়েকবছর আগে আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় যাওয়ার পথে যখন এক্সিডেন্ট করে, খুলনায় হাসপাতালে আনার পরে রাজ্জাকের পরিবারের সবাইকে মানসিক শক্তি যুগিয়ে তার জ্ঞান ফেরা পর্যন্ত হাসপাতালেই প্রার্থানারত ছিলেন তিনি!!

করোনা মহামারীর মাঝে,যখন ক্রিকেট বন্ধের কারনে, অসংখ্য ক্রিকেট কোচ আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে গেছিলো, দুর্দশার সেই দিনগুলোতে মনোয়ার আলী মনু নিজে বিসিবিকে দরখাস্ত লিখেছিলেন, সকল ক্রিকেট কোচদের কে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য!

কোচিং জীবনে শিষ্যদের সুখে, নিজের সুখ খুজে পাওয়া অত্যান্ত সহজ সরল শান্ত এই মানুষটার অবসর সময় কাটে পরিবারের সাথে ভ্রমনে, পুরানো কিছু বন্ধুর সাথে বর্শি দিয়ে মাছ ধরে, আর নিজের শখের কবুতরগুলোর সাথে সময় কাটিয়ে। অবসর সময়ে যেনো আরো একবার সেই ছোটোবেলার রঙিন দিনগুলোকে ফিরে পেতে চান তিনি, ছুটে যেতে চান আঁকাবাকা মেঠোপথ ধরে!

দক্ষ একজন কারিগর তার সবটুকু পরিশ্রম, ভালোবাসা, দক্ষতার সংমিশ্রনে নিজের কোমল হাত দিয়ে অনেক সাধনার পরে গড়ে তোলেন এক একটা নান্দনিক ইমারত, ইমারতটি ঠিক ই সবার প্রশংসাতে ভাসে, তবে এর কারিগর আড়ালেই রয়ে যান।

ঠিক এমনই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আড়ালের এক স্বার্থহীন মহানায়ক মনোয়ার আলী মনু, যিনি জাতীয় দলের বহুত মজবুত ইমারতের এক অচেনা কারীগর।

একজন মনোয়ার আলী মনুর অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটে কতটা, সেটা একটা প্রতীবেদন, বা একটা ভিডিওতে কখনোই ব্যখ্যা করা সম্ভব নয়, তবে আলো-আধারের ক্রিকেটে আরেকজন মনু স্যারকে পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে শতাব্দীর পর শতাব্দী অপেক্ষা করতে হবে! 

❤️"তিনি আড়াল থেকেই মহৎ,আড়ালেই মহানায়ক"❤️
লেখকঃরায়হান হাসান শুভ 
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

২৬ অক্টোবর, ২০২১

হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন শৃংখলার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হুমকি

হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন শৃংখলার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হুমকি

হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন শৃংখলার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হুমকি


চাল চুরির সংবাদ প্রকাশ করায় সা়ংবাদিক এর নামে মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে চাল চুরির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মামলা হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নামে , জাগোনিউজ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, প্রতিবেদক তানভীর হাসান (শাওন আমিন) এবং রহিম শুভ-র বিরুদ্ধে৷ শনিবার রাতে ডিজিটাল আইনে বালিয়াডাঙ্গি থানায় মামলাটি করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম ভাসানী৷
এজাহারে বলা হয়েছে, ৯ এপ্রিল বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় ১০ টাকা কেজি দরের ৬৮ বস্তা চাল উদ্ধার হয়৷ এর একদিন আগে তানভীর হাসান এবং রহিম শুভ মোমিনুল ইসলাম ভাসানীকে ‘চাল চোর’ বলে ফেসবুকে পোস্ট দেন৷ পরে মোমিনুল ইসলাম ভাসানীর বড় ভাই বড় পালাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়৷ এতে মোমিনুল ইসলাম ভাসানী নিজের ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার অভিযোগে মামলা করেন৷
তানভীর হাসান স্বীকার করেন যে তার প্রতিবেদনে ভুল ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার প্রতিবেদনে একটু ভুল ছিল৷ যার গোডাউন থেকে চাল উদ্ধার করা হয়েছে, তার নামের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভাইয়ের নামের মিল রয়েছে৷ তাই তার ভাই বলে খবরের হেডিং-এ উল্লেখ করা হয়েছিল৷ আমরা কিছুক্ষণ পরেই তা সংশোধন করে দেই৷ কিন্তু তারপরও মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা৷ পুলিশ খুব দ্রুত মামলা নেয়৷ আসলে এখানে আমরা যারা করোনায় ত্রাণের চাল চুরির বিরুদ্ধে লিখি, তাদের শায়েস্তা করতেই এই মামলা৷ আমরা যাতে আর কোনো প্রতিবেদন করতে না পারি সেজন্যই এই হীন প্রচেষ্টা৷

আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হলে পরিণতি
আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে বা লেখালেখি করলে হুমকি ধামকি এবং মামলা খেতে হয়।


মূলত ঐদিন ৯ইে এপ্রিল ৬৮ বস্তা নয় ৮২১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবুও যেন পুলিশ সাংবাদিকদের উপর একটু বেশিই তৎপর, এযেনো চালচোরদের বিরোধিতা নয়, দেশদ্রোহীতা।

২৩ অক্টোবর, ২০২১

ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব




তাজ হাশমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে এবং তার শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবং তিনি বলেন শেখ মুজিব এর পতনের জন্য, শেখ মুজিব নিজেই দায়ী। চলুন ইতিহাসবিদ তাজ হাশমির মুখেই শুনি।


বঙ্গবন্ধুর স্বভাব বা বৈশিষ্ট্য
বঙ্গবন্ধু আত্মপ্রচার করতে ভালোবাসতেন, এবং তিনি মুক্তিযুদ্ধের অবদান সম্পর্কে তার নিজের ভূমিকাই বেশি মনে করতেন। তারপর বাকি অংশ তার দলের নেতাকর্মীদের বলে মনে করতেন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা যারা অন্য দল করে বা আওয়ামীলীগ করেননা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বা স্বাধীনতায় তাদের অবদান আছে বলে মনে করেন না। তিনি তার সুবিধা মতো বিচার করতেন, আইন কানুন থাকলেও অনেকেই ছিলেন এর বাহিরে। তাদের অপরাধের কোন শাস্তি হতো না।

বঙ্গবন্ধুর শাসন যা তার পতনের কারণ

বঙ্গবন্ধু এই বিচার ব্যাবস্থার কারনে চুরি ডাকাতি অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। যার ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়, এবং না খেয়ে অনেক মানুষ মারা যায়।

এছাড়াও আওয়ামীলীগের পাতি নেতারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তারা লুটপাট জায়গা জমি বেদখল দিতে থাকে। এর প্রতিবাদ রোধ করতে অস্ত্র নিয়ে টহল দেয়া হয়।

শুধু সাধারণ জনগণ নয় রাষ্ট্রে নিয়োজিত অফসার এবং প্রসাশনেও আওয়ামীলীগ কর্মীদের অন্যায় অত্যাচার ছড়িয়ে পরে। এবং তাদের চাকরি অন্যায়ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে তার নিজবাড়িতে স্বপরিবারে হত্যার স্বীকার হন। এবং তার রাজত্বের সমাপ্তি ঘটে। 

বিশ্বাস যোগ্যতা

  • বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য ইতিহাস জানা গেলেও এই ইতিহাস বা তার শাসন কালটি সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে।
  • বর্তমানে উনার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মাঝে এই গুনাবলি বিদ্যমান।
  • শেখ হাসিনার অ্যাডভাইজার নিজে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন তিনি মধ্যযুগীয় স্বৈরাচার দের মতো দেশ শাসন করতেন। 
  • এই কথাগুলো শেখ হাসিনা মিথ্যা প্রমানিত না করে তাজ হাসমিকে ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক ভাবে কটুক্তি করেন, তাকে সাইবার অপরাধী, নাস্তিক এবং আইএস বলে আখ্যায়িত করেন। যা তাদের বৈশিষ্ট্য।
  • বর্তমানে এদের কর্মকাণ্ড, স্বৈরাচারী মনোভাব, এবং তাদের বক্তব্য যে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং দেখানো পথে চলেন। তাদের এই সব কর্মকাণ্ড কর্মকাণ্ডই যেনো তাজ হাশমির কথাগুলোর স্বাক্ষী এবং জলজ্যান্ত প্রমাণ।


২২ অক্টোবর, ২০২১

বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ নেতার বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুর এর অভিযোগ

বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ নেতার বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুর এর অভিযোগ

বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ নেতার বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুর এর অভিযোগ এবং গণ হারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার




বিএনপি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল। তাদের নামে বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ স্বাধীনতাবিরোধী বলে অভিযোগ করে থাকেন। এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তাদেরকেই দায়ী করেন।

বাংলাদেশে বিএনপির, জামায়াত, অর্থাৎ বিরোধী দলগুলো ছাড়া আর কেউই যেন অপরাধ করতে পারেনা। আসলেই কি তাই, নাকি তাদের অপরাধ, অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না? তাদের অপরাধের দায় চাপিয়ে দেয়া হয় বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের উপরে। এবং সাধারণ জনগণ বিরোধীতা অর্থাৎ প্রতিবাদ করলে, তাদের কে জামায়াত শিবির, বিএনপি অর্থাৎ বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে তাদের নামেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়।

বর্তমান প্রথম আলোর একটি সংবাদে বিএনপির ৬ মাস ধরে কারাগারে বন্দি থাকা তিন জনের নামে মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয় বলে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা তিন জনই হেফাজত ইসলামের সহিংসতা মামলায় ৬ মাস ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।

তিন আসামি হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দিন ওরফে পাভেল ও বিএনপির কর্মী জোনায়েদ মেহেদী। তিনজনেরই বাড়ি হাটহাজারীতে।

কারাগারে থাকা বন্দীদের ভাঙচুরের মামলায় আসামি করা পুলিশের খামখেয়ালিপনা বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী। এটিকে পুলিশের খামখেয়ালি বলা হলেও এইটি স্পস্ট যে এইরকম খামখেয়ালির শিকার বিএনপির সকল নেতাকর্মী আগেও হয়েছেন এবং এখনো হচ্ছেন। মূলত এটি বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র। 

কারাবন্দী থাকা ব্যক্তিকে আসামি করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার বাদী হাটহাজারী থানার এসআই আবিদুর রহমান ফোন ধরেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জেল থেকেও হুকুম দিতে পারে।

তবে জেল থেকে কোনো আসামির হুকুম দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান চট্টগ্রাম কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বন্দীরা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকেন। বর্তমানে স্বজনদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে।

এর থেকে একেবারেই স্পস্ট বোঝা যায় শুধুমাত্র খামখেয়ালি নয়, তারা বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের উপরে দোষারোপের জন্য কতটা পারদর্শী। যে দেশের প্রসাশন এইরকম খামখেয়ালির করে থাকেন, তারা জনগণের যে কি এমন নিরাপত্তা দেন, আদৌও তারা জনগণের কাছে নিরাপদ কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।



২০ অক্টোবর, ২০২১

এ কেমন রাজনীতি খুনিকে দেয় সম্মান আর রাজাকারের ফাঁসি

এ কেমন রাজনীতি খুনিকে দেয় সম্মান আর রাজাকারের ফাঁসি

এ কেমন রাজনীতি খুনিকে দেয় সম্মান আর রাজাকারের ফাঁসি




পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযোগ্য চালায়। বাড়ি ঘড় জ্বালিয়ে দেয়, মা বোনদের ধর্ষণ করে। তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পরিবার বেশ নিরাপদেই ছিলো এবং পাকিস্তানিদের ভাতা খাচ্ছিলো। 

কিন্তু বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে কেমন ছিল, তার উপর কি অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল এই ভিডিওটি দেখলে স্পস্ট বুঝতে পারবেন।

ভিডিও ফুটেজটি ১৯৭৪ সালের, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভূট্টো খাঁনকে আমন্ত্রণ করে লাল গালিচা সংবর্ধনার। যায মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেন ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যাকারিকে শাস্তি নয় সম্মান প্রদান করা হয়েছিল?

৩০ লক্ষ শহীদের, ২ লক্ষ বিরাঙ্গনার এমনকি আপনার পরিবার প্রিয়জন ছেড়ে জেলখানার বন্দী জীবনের কথা ভুলে গেলেন। কিন্তু কেনো?

এর সাথে কি আপনার পরিবারের নিরাপত্তা, পাকিস্তানি ভাতা এবং পাকিস্তানিদের সাথে সমঝোতার কোনোই সম্পর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধের পিছনে আপনাদের কি কোনোই ব্যাক্তিগত সার্থ ছিলোনা। 

অবশ্যই ছিলো, কারণ আমি বলবো ওইটা লাল গালিচা ছিলোনা, আমার শহীদ ভাইয়ের তাজা রক্ত ছিলো। আপনারা সার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারেন এবং করেন। যার প্রমাণ আমরা বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডে যা সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হচ্ছে।

সার্থের জন্য আপনারা সবকিছু করতে পারেন তার প্রমাণ। রাজাকারের ফাঁসি আর খুনির লাল গালিচার সম্মান একেবারেই বে মানান।



১৯ অক্টোবর, ২০২১

কেনো যে কোনো অপকর্মের দায়ে মুসলমানদের উপর আঙ্গুল তোলা হয়

কেনো যে কোনো অপকর্মের দায়ে মুসলমানদের উপর আঙ্গুল তোলা হয়

কেনো যে কোনো অপকর্মের দায়ে মুসলমানদের উপর আঙ্গুল তোলা হয়?




ইসলাম শান্তির ধর্ম, তবে কেনো যেকোনো অন্যায় অপকর্মের জন্য মুসলমানদের দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়। আমি একজন বাঙ্গালি, এই বাংলাদেশে আমার জন্ম। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি দেখিনি শেখ মুজিবের শাসন কাল। আপনারা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন করেছেন। মুছে ফেলেছেন শেখ মুজিবরের সৈরাচারি শাসন কাল। 

এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যাথা ছিলোনা। স্বাধীনতার শত্রু বলে হত্যা করেছেন জামায়াত ইসলামের প্রভাবশালী মুসলিম নেতাদের। আমরা সহ্য করেছি কারন মুসলমানদের ভুল হতে পারে তারা অন্যায়ে লিপ্ত হতেই পারে। তাই তার কোনো প্রতিবাদ করিনি।

তাই মুসলমানদের দূর্বল ভেবে আপনারা কোরআন বিরোধী কথা বলেছেন। কোরআনকে অবমাননা করেছেন, ইসলামকে অস্বীকার করেছেন এবং ইসলামকে মুছে ফেলে মুজিবীয় সৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করার দূর্সাহস দেখিয়েছেন।

কিন্ত আমরা মুসলমানরা এটি মেনে নিব না। কারন আমরা মুসলমানের ভূল থাকতে পারে এটা মেনে নিলেও কুরআনের এবং ইসলামের ভূল আছে এটা আমরা মানি না, মানবো না। এবং এর ঘোর বিরোধীতা প্রতিবাদ জানাই।

এখন আসি বর্তমান পরিস্থিতিতে: বর্তমানে কোনো ইসলাম ধর্মের অনুসারী বিপথগামী হয়ে একটা অন্যায় করে ফেললে তা এইভাবে হেডলাইন করে প্রচার করা যে অমুক মসজিদের ইমাম ধর্ষন করেছেন, অমুক মাদরাসার শিক্ষক ছাত্রিকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু একজন এমপির বেলায় তার প্রচার হয়না, এমনকি মামলা করলেও তার কোনো বিচার হয়না।যে নীতি একজন এমপির বেলায় প্রয়োগ করেন, সেই নীতি কেন একজন মুসলীম এর বেলায় দেখাতে পারেন না। আমরা আপনাদের এই অচল নীতি এবং আপনাদের কে প্রত্যাখ্যান করি।

আপনারা (আওয়ামীলীগ) মুসমানদের রাজাকার, জঙ্গি বলে অপপ্রচার চালিয়ে যে ইসলামকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। আমি আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছি যে 

রাষ্ট্র চলবে ইসলামী আইনে, তবে আমি বেচেঁ থাকতে এই বাংলার বুকে আমার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ভাইদের কেউ বিনা কারণে অন্যায় ভাবে একটা টোকাও দিতে পারবেনা। হিন্দুদের দিবো মূর্তি ভাঙ্গার, অগ্নী সংযোগ এবং কেন পূজা বন্ধ করা হলো তার ন্যায় বিচার। মুসলমান পাবে ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে যারা শহীদ হলো তাদের প্রতিটি রক্ত বিন্দুর হিসাব। দেশ থেকে দূর করবো মীর জাফর এবং সৈরাচারি শাসক, ইনশাআল্লাহ।


টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-২

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-২

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-২




হে টাকলা মুরাদ, তুমি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে দেশ থেকে ইসলাম তুলে দিতে চাও। তুমি নিজেকে কি মনে কর? তোমার বাপ দাদা ফেরাউন, আবুজাহেল ্পবিত্র কোরআনের একটা নোক্তা পরিবর্তন করতে পারেনি, আর তুমি এসেছো গোটা কোরআন’ই মুছে ফেলতে। 

হে মুরাদ তুমিতো আওয়ামীলীগের সামান্য একটা টাকলা কুকুর মাত্র। তুমি কি জাননা তুমি কেন সারা পৃথিবীর সবকিছু মিলিয়ে কোরআনের একটি অক্ষরের সমতূল্য হতে পারবে না। 

হে টাকলা তোমার দল বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম মুছে ফেলার দূর্সাহস কোথায় পেলো, তোমরা কি জানো বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখতে কয়টি বর্ণ বা কয়টি শব্দ লাগে।

হে টাকলা অনেক হয়েছে তোমাদের কান্নাকাটি অনেক সহ্য করেছি তোমাদের ভন্ডামি। কেদে কেটে স্বাধীনতার গল্প বলো, আর মুসলমানদের উপর জঘন্য ভয়ঙ্কর মিথ্যা অপকর্মের দায় চাপিয়ে বিশ্বের কাছে ছোট করো। চালিয়ে যাও কুত্তালীগের অন্যায় অত্যাচার।

হে টাকলা মুরাদ তোমার অন্যায়ের কোন ক্ষমা নেই। ফেরাউনকে যেমন নীল নদে ডুবে মারা হয়েছিল, তোমাকে নীল নদে নয় বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে হত্যার দাবি জানাই সমগ্র মুসলিম জাতীর কাছে।


১৮ অক্টোবর, ২০২১

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন স্বাধীন বাংলার মীরজাফর

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন স্বাধীন বাংলার মীরজাফর

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে স্বাধীন বাংলার মীরজাফর। এ কেমন বিচার?




এবার মীরজাফরকে হার মানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকার। 

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে বিরোধী দলীয় নেতাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। তাদের নামে মামলা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কাউকে হত্যা করে। কাউকে দেশ ছাড়া করে। আর বাকি যারা দেশে ছিলো তাদের উপর নিজেদের অপকর্মের দায় চাপিয়ে দেন। 

এর ফলে এদের অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলে। তারা চুরি ডাকাতি খুন গুম ধর্ষণ সবধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। এবং রাজাকার, আই এস, জামাত শিবির এর কথা বলে প্রতিবাদ রোধ করে। এর পর এরা ইতিহাস বিকৃত করতে করতে নতুন ইতিহাসে জন্ম দেয়।

এবার তারা নিজেদের সর্বশক্তিমান ভাবতে শুরু করে। জনগনের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়। এবং নতুন ইতিহাসের বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়।

মুসলমানগণ এই ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করেন। তার ফলে বিভিন্নভাবে এদের দ্বারা হয়রানির স্বীকার হতে হয়।  রাজাকার, জামাত শিবির, আই এস এর কথা বলে মুসলমানদের জঙ্গি প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে। তবুও মুসলমান ইসলামকে ছাড়তে নারাজ।

তাই এরা এবার ইসলামকে চিরতরে মুছে দেয়ার জন্য প্রথমে ইসলামকে বিকৃত করে (ধর্ম যার যার উৎসব সবার) হিন্দু ভাইদের প্রতি গভীর প্রেম দেখান। তাদের পূজায় অংশ নেন এবং সেখানে গন্ডগোল পাকিয়ে ইসলাম প্রেমি মানুষের সাথে বিরোধীতার সৃষ্টি করে দেন।

আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীগণ আরও  দাবি করেন, বি এন পি এবং এরশাদ সরকারের সময় নাকি হিন্দুদের উপর বেশি অন্যায় অত্যাচার চালানো হয়। 

কিন্তু দেখুন এই হিন্দু ভাই কি বলেন



আওয়ামীলীগ একটি অভিশপ্ত দল, এই দলটি হলো আওয়ামী মুসলিম লীগের বিকৃত রূপ। এদের দু-মুখি আচরণ, অন্যায়, অত্যাচার, আত্মপ্রচার এগুলো সহ্য করতে না পেরে অনেক সত্যিকার দেশ প্রেমিক এই দলটি ত্যাগ করেছেন।


আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না

আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না

আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার পদ্ধতি যা জানলে আপনি কখনো বিচার চাইবেন না




আওয়ামীলীগ সরকার দেশে নাকি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আই এস, জামাত শিবির, বি এন পি, এবং পাকিস্তানি রাজাকার নাকি এদের শান্তি শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটায়। দেশের উন্নতি নাকি এরা সহ্য করতে পারেনা। মেনে নিলাম।

যখন চাল ডাল টিন জনগণের সম্পদ মেরে খাওয়া হয় তার অভিযোগ করা হলে এটি বি এন পির ষড়যন্ত্র মেনে নিলাম। 

কিন্তু যখন আওয়ামীলীগের অপকর্মের প্রমাণ দেখানো হয় তখন তারা অপকর্মের বিচার বাদ দিয়ে প্রমাণ কোথায় পেলো, সে কোন দল করে, আই এস এর সদস্য নাকি, তার বাবা জামাত শিবির করে, নাকি রাজাকার ছিল সেই গুলো নিয়েই তদন্ত করা হয়। এবং তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করেন।

যদি কোনো কারণে তাকে (বিচার প্রার্থীকে) রিমান্ডে নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বলা হয়। আমরা বি এন পির থেকে কম লুটপাট করছি।

জনগণের উপর শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ঋণের বোঝা স্বরূপ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। জোরপূর্বক টেলিভিশনে পর্দায় এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে তার ছবি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন আওয়ামীলীগ সেটি গোপন করেছে।

বর্তমানে ডিজিটাল আইনের আবির্ভাব করে বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। চামচামি আর  দালালি ছাড়া জাতীয় গনমাধ্যমে কিছুই প্রচার করা হয় না। কোনো কিছু প্রচার করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। 

তার প্রভাব সোস্যাল মিডিয়াতেও বিস্তার করা হয়েছে। সরকার বিরোধী প্রতিবাদী পোস্ট করা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ইসলাম বিরোধী পোস্ট করা হলে তখন নিরবতা পালন করা হয়।

ধর্মীয় ব্যাপারে আওয়ামীলীগ একই বিচার ব্যবস্থা জারি রেখেছেন। তবে হিন্দু ধর্ম তাদের কাছে একটু বেশিই প্রিয়। হিন্দুদের সাথে মিলে মিশে পূজা উৎসব পালন করেন। এবং শেখ মুজিবুর এর মূর্তি বানিয়ে তার চর্চা করেন।

কোরআন অবমাননার জন্য এখনো কারো শাস্তি হয়নি। কিন্তু তার প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। 

ইসলাম বিরোধী হিংস্র বক্তব্য প্রকাশ করা হলে। তা নিয়ে এদের কিছু করার বা বলার থাকে না। মুসলমানরা সক্রিয় হলে তখন আর এরা বসে থাকতে পারে না। সরাসরি অস্ত্র নিয়ে মুসলমানদের ওপর হামলা চালায়।

কারা এই ইসলাম বিরোধী প্রতিহিংসা পরায়ন উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করে তারা কারা, কেন এগুলো করে তা জানতে চাওয়া হয় না। বলা হয় সামান্য ফেইসবুক লাইভ নিয়ে মুসলমান উগ্রবাদ জঙ্গিরা হিন্দুদের আঘাত করেছেন। তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।


ভারতকে প্রধান মন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া

ভারতকে প্রধান মন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া

ভারতকে প্রধান মন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া




সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। বলেছেন সেখানে তারা এমন কিছু যেনো না করেন যে তার কুপ্রভাব বাংলাদেশ পরে।


প্রতিক্রিয়া: এই সংবাদটি শোনার পরে মুসলমানরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং হাসিনা ভক্ত হয়ে গেছেন। এটাই স্বাভাবিক এই প্রথম তিনি বাংলার জনগণের একটি মনের কথা বলেছেন।


আমি মুসলমান ভাইদের বলছি এতে আপনাদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। এই কথা শুধু বলা হয়েছে কাজের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। 


  • আমাদের যে ভাই কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ করার জন্য ডাক দিয়ছিলেন তিনি কিন্তু এখনো জেলখানায়। 
  • যে ভাইয়েরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন দিয়েছেন, কেন তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল, তাদের জন্য কি ব্যাবস্থা নিয়েছেন?
  • টাকলা মুরাদ যে ইসলাম বিরোধী কথা বলেছে তার কি শাস্তি হয়েছে।
  • এই ইস্যু নিয়ে কয়টি হিন্দুকে গ্রেফতার করেছেন, মুসলমানদের উপর কি কোন হামলা করা হয়নি।
  • হিন্দু নরপশু সন্ত্রাসী যে এই বক্তব্য দিয়েছেন তারজন্য তার সরকার কি শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে এর কি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 


বর্তমান সরকারের বৈশিষ্ট্যঃ   স্বার্থে জন্য যখন তখন নিজের রূপ পরিবর্তন করেন। ইসলাম বিরোধী কাফের, মুনাফিক দের কি বিশ্বাস আছে? আমি মনেকরি এটি আপনাদের নতুন একটি পরিকল্পনা।


পরিকল্পনা উদ্দেশ্য

  • আপনার এই মুসলিম দরদী কথা শুনে মুসলমান আপনার ভক্ত হয়ে যাবে। ভুলে যাবে ইসলামের জন্য শহীদ হওয়া ভাইদেরকে।
  • আপনারা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তার কেউ কোন প্রতিবাদ করবেনা বিচার চইবেনা।
  • মুসলমানরা যখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, সচেতন থাকবেনা, তখন যারা এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদেরকে হত্যা করবেন।



কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা কেন্দ্রে মূর্তির পায়ে কোরআন এটি দূরসাহস নাকি ষড়যন্ত্র

কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা কেন্দ্রে মূর্তির পায়ে কোরআন এটি দূরসাহস নাকি ষড়যন্ত্র

কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা কেন্দ্রে মূর্তির পায়ে কোরআন এটি দূরসাহস নাকি ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র হলে কাদের ষড়যন্ত্র, এর সাথে রাষ্ট্র ধর্ম থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার সম্পর্ক কি?




কুমিল্লা নানুয়ার  মূর্তির পায়ে কোরআন এটা হিন্দুদের দূর সাহস হতে পারে। কারণ বাংলাদেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম থাকা স্বত্ত্বেও তারা নীপিড়িত, নির্যাতিত। মুসলমানদের রাজাকার, জামাত শিবির বলে বৈধ এবং অবৈধ ভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরে নাইবা গেলাম। আবরার হত্যার বিষয়টি বিবেচনা করুন, নামাজ পড়ার জন্য, মানুষকে নামাজের দাওয়াত দেওয়ার জন্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বলা হতে পারে তার সঠিক ন্যায় বিচার করা হয়েছে। তাহলে আমি বলবো ন্যায় বিচারের সঙ্গা জানেন? বিচারক হবার জন্য বিচার নয়। অপরাধের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্যই বিচার। আজও মুসলমানদের জঙ্গি উগ্রবাদী বলা হয় এর থেকেই এরা এই দুর্সাহস পেয়েছে।


এটা যদি ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে তাহলে ষড়যন্ত্র কারা করেছে, আর আপনারা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বিলুপ্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন কেন, এতে আপনাদের সার্থ কি।


কেন কুরআন অবমাননার শাস্তি দাবি করায় মামলা খেতে হলো। কেনো তাকে জামাত শিবির সন্দেহ করা হলো? সকলেইতো আপনাদের মতো বেঈমান না। আপনাদের যেমন মূর্তি ভাঙ্গলে জ্বলে। আমরা তো আপনাদের র এর এজেন্ট বলিনা। তাহলে আমরা কোরআন অবমাননা করার জন্য কষ্ট পেলে কেনো আমাদের জঙ্গি, রাজাকার মৌলবাদী বলে আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আমাদের হত্যা করেন। আপনারা তো প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের গ্রেফতার করেন। তারপর অন্যায় ভাবে যোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করেন।


আমরা অন্যায় তুলে ধরলে সেটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে, ডিজিটাল আইনে মামলা খেতে হয়। আর হিহিন্দুরা অপপ্রচার করলে তাদের কোলে নিয়ে দুদু খাওয়ান।তাদের খুশি করতে ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দেন। কেন এর কারন কি? এর কারন হলো আপনারা কোরআন বিরোধিতা করেন। তার কারন এখানে ক্লিক করে মিলিয়ে নিন।


এটা দূর্সাহস হলে তা আপনাদের (আওমিলীগের) কাছ থেকে পেয়েছে। আর ষড়যন্ত্র হলে এটা আওমিলীগের ইসলাম বিরোধী এবং দেশ থেকে ইসলাম তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র।



টাকলা চ্যালেঞ্জ

টাকলা চ্যালেঞ্জ

টাকলা চ্যালেঞ্জ




হে টাকলু তোমাকেই বলছি, তুমি বলেছ শেখ মজিবের বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখানে কেউ কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিতে পারবেনা, দাড়িওয়ালা দের সেভ করে দিবে, মোবাইলে ওয়াজ বাজানো হলে লাথি মেরে ফেলে দিবে। হে টাকলু মুরাদ তোমার জন্য ভাষা খারাপ করতে বাধ্য হচ্ছি, আল্লাহ মাপ করুন, হে টাকলু বঙ্গবন্ধু কি গুয়ামারা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। তাকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়ে গুয়ামেরেছে তুমি কি দেখেছো। নাকি ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। ইসলাম দেশকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। তুমি দেশ থেকেই ইসলাম তুলে দিবে? পারলে তুমি ৭২ রে ফিরে গিয়ে মরা বাপকে তুলে জীবিত করে দেশ থেকে চিরতরে ইসলাম মুছে ফেলে দেখাও।