আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে?
কিছু দুর্নীতি গ্রস্ত অমানুষ, আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে আলেম ওলামারা টুপি পড়ে দাড়ি রেখে ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে। এখানে নবীর সুন্নতকে অবমাননা করা হয়েছে। এবং দাড়ি রাখতে এবং টুপি পড়তে মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আর ধর্ম ব্যাবসার কথা বলে ইসলাম ধর্মের চর্চা এবং ইসলামকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ধর্ম ব্যাবসা বলতে তারা মনে করেন মুসলমানদের কাছ থেকে দুই, এক টাকা করে সংগ্রহ করে নামাজ পড়ানোর জন্য ইমামকে হাদিয়া প্রদান করা। সোজা কথায় নামাজ পড়িয়ে ইমাম সাহেব যে উপার্জন করে। মোক্তব, মাদ্রাসা, ইয়াতিম খানা এবং সকল মুসলমানদের দ্বীনের শিক্ষা দিয়ে আলেম ওলামারা যে উপার্জন করেন তাই ধর্ম ব্যাবসা।
আসলেই কি তাই? স্কুল কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক রা কি বেতন নেয় না? অবশ্যই নেয়, তাহলে কি তারা শিক্ষা ব্যাবসায়ী? বিচারপতি আইনের ধারা অনুযায়ী বিচার করে তার পারিশ্রমিক কি নেন না? অবশ্যই নেন, তাহলে কি তিনি আইন ব্যবসায়ী? আর আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের মিথ্যা বুলি এরিয়ে জনগণের টাকায় খাচ্ছেন, এবং বিদেশে টাকা পাচার করছেন, আপনি নিশ্চয়ই গনতন্ত্র ব্যাবসায়ী।
আলেম ওলামারা যাকাত ফেতরা, দান ছদগা করতে বলে এইটাই কি তাদের অপরাধ। আচ্ছা কোন আলেম বিদেশে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তার কি কোনো নজির আছে? কিন্তু আপনাদের আওয়ামীলীগের একজন পাতি নেতারো দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার নজির আছে।
এতো কিছু থাকতে আওয়ামীলীগ কেন ইসলাম ধর্মের এবং আলেম ওলামাদের পিছনে পড়ে থাকে তার কারণ হলো, ইসলাম সাম্যতার কথা বলে, ধনী-গরীব, সবল দূর্বল সকলের অধিকার নিশ্চিত করে। আর আলেম ওলামা ঘুস, চাদাবাজি, জুলুম কারীদের কোরআন হাদিসের আলোকে ভয়াবহ দুরসংবাদ প্রদান করেন। দ্বীনের পথে ফিরে আসার আহবান জানান। এতে তাদের উপার্জন কমে যায়, এবং পদে পদে বাধাগ্রস্ত হন। তাই তারা আলেম ওলামা এবং মুসলমানদের তাদের পথের কাঁটা এবং সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করেন।
আপনারা (আওয়ামীলীগ/ইসলাম বিরোধীরা) নিজেরা যেমন, সবাইকে তাই মনে করেন। যার কুফল শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ভোগ করতে হয়। জনগণ তা বুঝে।
0 coment rios: