২২ নভেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা

বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা


মিরপুর শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের মতো অনুশীলন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে অনুশীলন নয় আলোচিত হচ্ছে তাদের পতাকা উড়ানো নিয়ে। যা সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবং বিতর্কিত হচ্ছে বাংলাদেশের কিছু বিতর্কিত দেশপ্রেমিকের কাছে। 

এ নিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, পাকিস্তানীদের এই ঔদ্ধত্যের কারণও আছে। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল; জামায়াত ইসলামী এবং তাদের সহযোগীরা এখনও আছে। তরুণদের মধ্যে তাদের একটা বিরাট প্রভাব আছে। পাকিস্তানের প্রেম আছে। সুতরাং আমি মনে করি, পাকিস্তানকে এব্যাপারে কোয়েশ্চেন করতে হবে, কৈফিয়ত চাইতে হবে এবং তাদের এই ঔদ্ধত্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাদের ক্রিকেট টিমের এই দেশে খেলবার কোনো দরকার নেই। 

আইসিসির নিয়মানুসারে কোনো ইভেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলাকালীন দুই দেশের পতাকা উড়তেই পারে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুশীলনেই সেটা কেন উড়াতে হবে? তা নিয়েই অনেকেরই একটু বেশিই মাথা ব্যথা। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনভর আলোচনা চললেও তাদের এমন কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস। 

ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’ 

বিশ্বকাপে আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি ছিল পাকিস্তানের। নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিরিজ পাকিস্তানে গিয়েই সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা। এই সিরিজেই পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন সাকলায়েন মুশতাক। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে অনুশীলনে জাতীয় পতাকা রাখেন। 

এতো কিছুর পরও পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে কেউ ক্ষমাও চাননি এবং কোনো প্রকার দুঃখ প্রকাশ করেন নাই। তবুও তারা বাংলাদেশের মাটিতে খেলেন। এবং বাংলাদেশি মানুষের প্রচুর সমর্থন পান। মিরপুরের গ্যালারিতে পাকিস্তানি দর্শকদের পাশাপাশি বাংলাদেশি দর্শকদের হাতেও পাকিস্তানি পতাকা দেখা গেছে।

যদিও খেলাধুলা একটি ভিন্ন ব্যাপার, খেলাধুলার জয় পরাজয় দেশের স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবুও অনেকেই দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে স্বাধীনতার শত্রু বলে আখ্যায়িত করে অন্যায় অত্যাচার করে নিজেদের সার্থ রক্ষা করেন এবং দমন পীড়ন চালিয়ে যান। 

বর্তমান বাংলাদেশের বিপরীতে পাকিস্তানের বিতর্কিত ম্যাচে বাংলাদেশি দর্শকদের পাকিস্তানিদের এমন সমর্থন ক্রিকেট বোর্ডের অনিয়ম দূর্নীতি, ভোট বিহীন নির্বাচন, অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের উপর জনগণের ক্ষোভ বা অসন্তোষের কারণ বলে আমি মনেকরি।

শেয়ার করুন

0 coment rios: