২২ নভেম্বর, ২০২১

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা



মিরপুর শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে পাকিস্তানিদের পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়। সকল বিতর্কের মুখে মাটি দিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একি? সেখানে পাকিস্তানিদের সাপোর্ট করেন বাংলাদেশি দর্শক এবং পাকিস্তানি পতাকা উড়ালেন বাংলাদেশের জনগণ।

এ নিয়ে ক্ষোভ বাংলাদেশি কিছু ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদের। মাশরাফি বিন মর্তুজা আক্ষেপ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে গতকাল লেখেন, ‘খেলার সাথে কোনো কিছু মেলানো যায় না এটা ঠিক, কিন্তু খেলাটা যখন আমাদের দেশে আর খেলছে আমাদের দেশ, সেখানে অন্য যে দেশই খেলুক না কেন, তাদের পতাকা তাদের দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ উড়াবে, এটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। যে যাই বলুক, ভাই দেশটা কিন্তু আপনার।’

এখানেই শেষ নয় নতুন করে উৎপত্তি হলো বা জানান দিলো ‘পাকিস্তানী দালাল রুখবে তারুণ্য’ নামের একটি সংগঠন। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের কেউ পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে আসলে এবং পাকিস্তানের জার্সি পরে আসলে তা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে ্এই সংগঠন।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের আগে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মিরপুরে তারা অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হামজা রহমান অন্তর।

তিনি জানান, ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষাধিক মা-বোনের আর্তনাদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার শত্রু যারা আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি, ক্ষতিপূরণ দেয়নি, যারা আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে তাদের হয়ে এদেশীয় দালাল গোষ্ঠীকে ৭১ এর মতোই প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।

যেখানে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভূট্টো খাঁনকে আমন্ত্রণ করে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। সেখানে এরা পাকিস্তানি জার্সি এবং পতাকা প্রতিরোধ নিয়ে ব্যাস্ত। স্বাধীনতা যুদ্ধ কি শুধুমাত্র পতাকার জন্য হয়েছিলো? না কি গনতন্ত্র, মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য হয়েছিলো। যতি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের এই প্রতিরোধ কি স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত হবেনা।

ইতোপূর্বে এমন আরো কিছু সংঘটন আমরা দেখেছি যাদের কোন বৈধতা নেই। যারা জনগনের অধিকার আদায়ে লক্ষে কাজ করে এই ধরনের দলগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য এই সংগঠন গুলো কাজ করে। আদৌ তাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে সম্পর্ক রয়েছে কি না? তা নিয়ে নেই কোনো তদন্ত বা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনি এবং সরকারী দলের মাথা ব্যাথা। তবুও এই সংগঠন গুলো হামলা মামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যে কারনে এই সংগঠনগুলোকে সরকারি সন্ত্রাসী বাহীনি বা সংগঠন বললে ভুল হবে বলে আমি মনেকরি না।

শেয়ার করুন

0 coment rios: