২৫ নভেম্বর, ২০২১

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই, কারন সরকারের উন্নয়ন জনগণের কল্যানের জন্য নয়।

উন্নয়ন বলতে আমরা সাধারণ মানুষ যা বুঝি নতুনত্বের ছোয়া, সহজ জীবন যাপন ব্যাবস্থা। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে দেখার বিষয় উন্নয়ন টা কার, দেশের, জনগণের নাকি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের। আমরা সবসময় যে উন্নয়নের বাণী শুনি, তা আমাদের জীবনে কি পরিবর্তন এনেছে তার প্রভাব আলোচনা করি।


উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন ও তার প্রভাব


বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন গুলো হলোঃ
  • পদ্মা সেতু, 
  • পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, 
  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, 
  • রেল সংযোগ এবং 
  • পায়রা সমুদ্র বন্দর।

প্রভাবঃ পদ্মা সেতু যোগাযোগের উন্নত মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ সকলের পেশা হতে পারে না। আমরা সাধারণ মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে গেলে আমরা কোনো টাকা পাইনা। আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। আমাদের আয়ের উৎস না থাকলে খরচ করবো কিভাবে। বলা হতে পারে যে শ্রম বিনিয়োগ বা ব্যাবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের অপব্যবহারের ফলে শ্রম বিনিয়োগ, ব্যাবসা করছে জনগণ লাভবান হচ্ছে চাদাবাজ, দূর্নীতিবাজ নেতাকর্মী এবং অসৎ প্রশাসন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশের শিল্প কারখানা প্রসার বা বিপ্লব ঘটাবে। এই উন্নয়নের সুফল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পাবে, তাদের অধিকার যদি প্রতিষ্ঠা না করা হয়। আর বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপার যারা আগে ২০০ টাকা বিল দিতো তাদের এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের দেশের তথ্য প্রযুক্তির নিরাপত্তা দিবে, জনমত প্রকাশের সুযোগ করে দিবে যা দেশের উন্নয়ন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি আইনের জন্য মানুষ স্বাধীন মতামত ও সত্য প্রকাশ করতে পারেনা। দালালি, তোষামোদ করার কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর মোবাইল বিল ২৫ পয়সা থেকে ৩ টাকা মিনিট।

পায়রা সমুদ্র বন্দর দেশের পর্যটন, ব্যাবসা বানিজ্য অর্থনীতির উন্নয়ন, এবং আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করবে। পর্যটনের মতো বিলাসিতার জন্য পেটে ভাত আর মনে সুখ থাকা জরুরি। ব্যাবসা বানিজ্যে মাথাপিছু আয় বাড়লেও বাড়ছেনা জনগণের ধনসম্পদ ও সুযোগ সুবিধা। জনগণের বাড়ছে শুধু ঋণ।

অ উল্লেখিত উন্নয়ন ও তার ব্যাখ্যা


বর্তমান সরকারের অ উল্লেখিত উন্নয়ন গুলো হলোঃ 
  • অটো নির্বাচন পদ্ধতি, 
  • সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, 
  • সন্ত্রাসী প্রশাসন, 
  • বেগম পাড়া সহ উন্নত দেশে ব্যাবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা।

ব্যাখ্যাঃ অটো নির্বাচন পদ্ধতি হলো বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দিয়ে দেশের মানুষের মূল্যবান সময়ের অপচয় রোধ করা এবং জন দুর্ভোগ সৃষ্টি না করা।

সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি টি হলো দেশে হত্যা, গুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে দেশের জনসংখ্যা কমিয়ে, জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা।

সন্ত্রাসী প্রশাসন বা বৈধ সন্ত্রাস এরা সরকারের নির্দেশ গুম খুন করে, এবং গুম খুনের সহায়তা করে। বিভিন্ন সময় জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে অপকর্মের স্বীকারোক্তি আদায় করেন। এবং প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করে মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেন।

সরকারের নেতাকর্মীরা, চাদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, গুম এধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন। এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, সেখানে বেগম পাড়া সহ বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন যা বিশ্বদরবারে আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।

সাধারণত মানুষের অবস্থা

 
ভোটাধিকার হারিয়ে জনগণ এখন ভাড়াটিয়া, তাই তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের সম্পদ লুটপাট করা, মালিক পক্ষ বা সরকারি দলের অধিকার। সন্ত্রাস বাহিনীর অন্যায় অত্যাচারের স্বীকার হয়ে সবকিছু হারিয়ে আইনের কাছে আশ্রয় চাইলে, সন্ত্রাসী প্রশাসন উল্টো মামলা দিয়ে স্থায়ীভাবে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়। কখনো ফাসিতে ঝুলে মরতে হয়, কখনো চার দেয়ালের মধ্যে অবহেলা, নির্মম অত্যাচার সহ্য করে, মিথ্যা অপবাদ নিয়ে ধুকে ধুকে মরতে হয়।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন জনগণের নাগালের বাইরে। কারন এই উন্নয়ন জনগণের কল্যানের জন্য নয়, বরং জনগণকে চুষে নিয়ে, বা জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ্এ উন্নয়ন শোষকের বিলাসীতার উন্নয়ন। তাই আসুন আ্মরা সাধারন মানুষ দল, মত নির্বিশেষে আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য একসাথে এক কন্ঠে বলি “উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই”

শেয়ার করুন

0 coment rios: