সর্বশেষ

১৭ এপ্রিল, ২০২২

কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজির ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি - Fry Punishak with cannabis

কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজির ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি - Fry Punishak with cannabis

কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজির ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি

এবার কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড টেকনোলজি থেকে সদ্য পাশ করা এক যুবক আবিষ্কার করলেন গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজির রেসিপি। দীর্ঘ দিন যাবৎ গবেষণা করে তিনি এই রেসিপি আবিষ্কার করেন।

গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি - gaja dia Puishak vaji

এই বিষয়ে তিনি আমাদের জানান, গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রীরা খুবই পছন্দ করেন। তারা অনেকেই এগুলো খেয়ে সংসদে আসেন, এবং জনগণের দুঃখ কষ্ট দূর করার বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করেন। 

গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি খেয়ে বাংলাদেশের গবেষক গণ গবেষণায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তারা ইতোমধ্যে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনী, তরমুজ ও কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও তারা ধারণা করছেন খুব শীঘ্রই তারা কুকুর, পেঁচা, সাপ এবং ড্রাগন নিয়ে মঙ্গলগ্রহে যাবেন। সেখানে এলিয়েনের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করতে সক্ষম হবেন। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যাটেলিয়ানের সদস্য সহ সকল প্রকার নিরাপত্তা কর্মী তাদের অপারেশনের পূর্বে গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি খেয়ে শত্রু পক্ষকে সহজে ঘায়েল করতে পারেন।

গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি উচ্চবিত্ত এবং রাজনীতিবিদ দের খাবার, তাই গাঁজা চাষ অত্যান্ত লাভজনক পেশা। আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া গাঁজা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গাঁজা চাষ করে পাঁতি নেতারা প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন করছেন, এবং উন্নত দেশ গুলোতে একেক জন দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা রপ্তানি করছেন। 

এই ছিল কক্সবাজার পলিটেকনিকের ফুড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল্লাহ আল মুতীর কাছে থেকে পাওয়া তথ্য। তিনি আমাদের আরো জানিয়েছেন গাঁজা দিয়ে পুঁইশাক ভাঁজি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বড় ধরণের ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য।

২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

এস. আই. এবং অভি গাড়ির অভিনব প্রতারণা - fancy fraud of si and ovi enterprise

এস. আই. এবং অভি গাড়ির অভিনব প্রতারণা - fancy fraud of si and ovi enterprise

ভ্রমণ সবসময় সবার কাছে সুখময় হয় না। কেউ আনন্দ বিনোদনের জন্য ভ্রমণ করে, কেউবা নিত্যান্ত প্রয়োজনে। কিন্তু সবারই আকাঙ্ক্ষা থাকে তার ভ্রমণটি যেনো হয় নিরাপদ এবং আরামদায়ক। সেই লক্ষ্যে বেশি টাকা খরচ করি এবং বেশিরভাগ সময়ই প্রতারিত হই।

আজ আমি উত্তরবঙ্গের এই ধরনের কিছু প্রতারকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। উত্তরবঙ্গের সুনামধন্য এবং কথিত ডাইরেক্ট গাড়ি এস. আই এবং অভি, এরা বেশ কিছুদিন যাবৎ করোনার দোহাই দিয়ে যেখানে সেখানে লোক উঠানামা করান। তবে এখন তারা আবিস্কার করেছেন নতুন কৌশল।

প্রতারণা কৌশলগুলো হলোঃ
  • এক গাড়ির টিকিট অন্য কাউন্টারে বিক্রি, সেই টিকিটে গাড়িতে উঠতে দিলেও সিট দিবে না।
  • সিট প্লান এবং টিকিট ছাড়া যাত্রী নেওয়া।
  • কাউন্টার ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় যাত্রী ওঠানামা করানো।
  • যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই গাড়ির পরিবর্তন করা।
  • নিরাপত্তা জনিত যেমন হিজরা বা বহিরাগতদের দ্বারা হয়রানি করা।


উপরের ছবিটিতে লক্ষ করুন অভির টিকিট, এস আই গাড়ি। টিকিটের সিট C1, C2 and D1 কিন্তু বসে আছি সবার পিছনের সিটে।

বিশদ বিবরণঃ
আমি মোঃ আবদুল্লাহ আল মুতী সোহাগ খাঁন ২২ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ এর সকালে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহপুর অভি কাউন্টারে টিকিট ক্রয় করতে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত ব্যাক্তি জানান অভি গাড়ি আসতে বিলম্ব হবে তাই এস. আই. গাড়িতে যাবার। এবং আকর্ষণীয় সিট A4 অফার করে, তাই রাজি হয়ে যাই এবং অভির টিকিট নিয়ে এস. আই. গাড়িতে উঠি। উঠে দেখি পিছনের গোটাকয়েক সিট বাদে সবগুলোই বুকিং। যাইহোক পিছনের সিটে কষ্ট করেই সিরাজগঞ্জে আসি।

এবার ফেরার পালা ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ ঢাকায় ফেরার পালা, সকাল ৬টা ৪৫মিনিটে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনের অভি কাউন্টারে উপস্থিত হই ৭টা ৩০ মিনিটের আব্দুল্লাহপুরগামী বাসের টিকিট ক্রয় করি। গাড়ি খালি থাকায় সামনেই সিট পেয়ে যাই। পথের মধ্যে যাত্রী উঠানামার ফলে গাড়ি পূর্ণ এবং খালি হতে থাকে। গাড়টি যখন চন্দ্রা আসে তখন গাড়ির ড্রাইভার এবং সুপারভাইজার সামনে যেতে অস্বীকৃতি জানান, এবং জোরপূর্বক অন্য একটি এস. আই. গাড়িতে তুলে দেয়। সেখানে যাত্রীদের বসার জায়গার অভাব দেখা দেয়। এবং ১ম এবং ২য় ধাপে যাত্রী হয়রানির পর যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ এবং যারা বাসে বমি করেন তাদের সাথে চরম পর্যায়ে দূরব্যাবহার করা হয়। 

উপরিউক্ত অভিজ্ঞতা থেকে উত্তর বঙ্গের যাত্রীদের জন্য আমির নির্দেশনাগুলো হলোঃ
  • ডাইরেক্ট গাড়ি মনে করে এস. আই. এবং অভি গাড়িতে উঠবেন না।
  • এক কাউন্টার থেকে অন্য গাড়ির টিকিট কিনবেন না।
  • সিটে বসার পূর্বে গাড়িভাড়া দিবেন না।
  • খুচরা ২০ - ৫০ টাকা আলাদা রাখুন।
  • গ্যানজাম এবং ঝামেলা করার সামর্থ্য বা মানসিকতা না থাকলে এই গাড়িতে উঠবেন না।
  • যারা গাড়িতে বমি করেন তারা এই গাড়িতে উঠবেন না।
  • যাদের আত্মসম্মান বোধ আছে, এবং গাড়ির স্টাফদের কাছে থেকে ভালো ব্যাবহার আশা করেন তারা এই গাড়িতে উঠবেন না।

২৫ নভেম্বর, ২০২১

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই

উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই, কারন সরকারের উন্নয়ন জনগণের কল্যানের জন্য নয়।

উন্নয়ন বলতে আমরা সাধারণ মানুষ যা বুঝি নতুনত্বের ছোয়া, সহজ জীবন যাপন ব্যাবস্থা। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে দেখার বিষয় উন্নয়ন টা কার, দেশের, জনগণের নাকি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের। আমরা সবসময় যে উন্নয়নের বাণী শুনি, তা আমাদের জীবনে কি পরিবর্তন এনেছে তার প্রভাব আলোচনা করি।


উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন ও তার প্রভাব


বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন গুলো হলোঃ
  • পদ্মা সেতু, 
  • পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, 
  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, 
  • রেল সংযোগ এবং 
  • পায়রা সমুদ্র বন্দর।

প্রভাবঃ পদ্মা সেতু যোগাযোগের উন্নত মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ সকলের পেশা হতে পারে না। আমরা সাধারণ মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে গেলে আমরা কোনো টাকা পাইনা। আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। আমাদের আয়ের উৎস না থাকলে খরচ করবো কিভাবে। বলা হতে পারে যে শ্রম বিনিয়োগ বা ব্যাবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের অপব্যবহারের ফলে শ্রম বিনিয়োগ, ব্যাবসা করছে জনগণ লাভবান হচ্ছে চাদাবাজ, দূর্নীতিবাজ নেতাকর্মী এবং অসৎ প্রশাসন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশের শিল্প কারখানা প্রসার বা বিপ্লব ঘটাবে। এই উন্নয়নের সুফল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পাবে, তাদের অধিকার যদি প্রতিষ্ঠা না করা হয়। আর বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপার যারা আগে ২০০ টাকা বিল দিতো তাদের এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের দেশের তথ্য প্রযুক্তির নিরাপত্তা দিবে, জনমত প্রকাশের সুযোগ করে দিবে যা দেশের উন্নয়ন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি আইনের জন্য মানুষ স্বাধীন মতামত ও সত্য প্রকাশ করতে পারেনা। দালালি, তোষামোদ করার কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর মোবাইল বিল ২৫ পয়সা থেকে ৩ টাকা মিনিট।

পায়রা সমুদ্র বন্দর দেশের পর্যটন, ব্যাবসা বানিজ্য অর্থনীতির উন্নয়ন, এবং আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করবে। পর্যটনের মতো বিলাসিতার জন্য পেটে ভাত আর মনে সুখ থাকা জরুরি। ব্যাবসা বানিজ্যে মাথাপিছু আয় বাড়লেও বাড়ছেনা জনগণের ধনসম্পদ ও সুযোগ সুবিধা। জনগণের বাড়ছে শুধু ঋণ।

অ উল্লেখিত উন্নয়ন ও তার ব্যাখ্যা


বর্তমান সরকারের অ উল্লেখিত উন্নয়ন গুলো হলোঃ 
  • অটো নির্বাচন পদ্ধতি, 
  • সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, 
  • সন্ত্রাসী প্রশাসন, 
  • বেগম পাড়া সহ উন্নত দেশে ব্যাবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা।

ব্যাখ্যাঃ অটো নির্বাচন পদ্ধতি হলো বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দিয়ে দেশের মানুষের মূল্যবান সময়ের অপচয় রোধ করা এবং জন দুর্ভোগ সৃষ্টি না করা।

সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি টি হলো দেশে হত্যা, গুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে দেশের জনসংখ্যা কমিয়ে, জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা।

সন্ত্রাসী প্রশাসন বা বৈধ সন্ত্রাস এরা সরকারের নির্দেশ গুম খুন করে, এবং গুম খুনের সহায়তা করে। বিভিন্ন সময় জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে অপকর্মের স্বীকারোক্তি আদায় করেন। এবং প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করে মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেন।

সরকারের নেতাকর্মীরা, চাদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, গুম এধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন। এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, সেখানে বেগম পাড়া সহ বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন যা বিশ্বদরবারে আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।

সাধারণত মানুষের অবস্থা

 
ভোটাধিকার হারিয়ে জনগণ এখন ভাড়াটিয়া, তাই তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের সম্পদ লুটপাট করা, মালিক পক্ষ বা সরকারি দলের অধিকার। সন্ত্রাস বাহিনীর অন্যায় অত্যাচারের স্বীকার হয়ে সবকিছু হারিয়ে আইনের কাছে আশ্রয় চাইলে, সন্ত্রাসী প্রশাসন উল্টো মামলা দিয়ে স্থায়ীভাবে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়। কখনো ফাসিতে ঝুলে মরতে হয়, কখনো চার দেয়ালের মধ্যে অবহেলা, নির্মম অত্যাচার সহ্য করে, মিথ্যা অপবাদ নিয়ে ধুকে ধুকে মরতে হয়।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন জনগণের নাগালের বাইরে। কারন এই উন্নয়ন জনগণের কল্যানের জন্য নয়, বরং জনগণকে চুষে নিয়ে, বা জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ্এ উন্নয়ন শোষকের বিলাসীতার উন্নয়ন। তাই আসুন আ্মরা সাধারন মানুষ দল, মত নির্বিশেষে আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য একসাথে এক কন্ঠে বলি “উন্নয়ন নয় আমরা আমাদের অধিকার চাই”

২৪ নভেম্বর, ২০২১

স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা স্বাধীনতা চাই

স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা স্বাধীনতা চাই

স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা স্বাধীনতা চাই


স্বাধীনতা প্রতিটি জাতির গৌরবের, আনন্দের এবং স্বরণীয় দিন। কারন স্বাধীনতা আমাদের মুক্ত, স্বাধীন এবং সম্মান নিয়ে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। এজন্য আমরা সাত কোটি মুক্তিযোদ্ধা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ বীরাঙ্গনা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই। এবং এই দিনটি আমরা বিষেশভাবে উৎযাপন করি।

আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন করছি, তখন আমাদের স্বাধীনতাই বিলুপ্ত, পড়ে আছে শুধু চেতনা। কেনো ৭ কোটি মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিলো, কেনো ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিলো, কেনো দুই লক্ষ মা বোন ধর্ষিতা হলো, শুধুমাত্র একটি পরিবারের গোলামী করার জন্য, এই কি আমাদের স্বাধীনতা? 

কেনো আজও আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে হয়, কেনো সুবিচারের দাবিতে আমাদের আজও মিছিল করতে হয়, কেনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য আজও আমাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। কেনো আজো আমার মা বোন ধর্ষিত হয়, কেনো আজো আমাদের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়, কেনো অর্থের অভাবে একজন বিজিবি সদশ্যকেও ( সোহরাব হোসাইন চৌধুরী ) আত্মহত্যা করতে হয়, কেনো নেই কোনো জনগণের কথা বলার অধিকার? 

নেই তার কোনো কোনো উত্তর, নাই কোনো বিচার, নাই কোনো প্রতিরোধ, নাই কোনো প্রতিকার। সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করলেই হয় বিএনপি, জামাত, রাজাকার। এটি আজ মুসলমানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই শিবির বলে হিন্দু বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়েছে। হিন্দু মহাজোটের নেতা গোবিন্দ প্রামাণিককেও জামাতের নেতা কর্মী বলে ঘোষনা করা হয়। কারন দেশে আজ কোনো স্বাধীনতা নেই আছে শুধু চেতনা, আজ নেই কোন স্বসস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা, আছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাস আর নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙ্গালী।

স্বাধীনতার চেতনাকে পুজি করে কেউ একাধারে ৩ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী, কেউ শতো শতো কোটি টাকার মালিক, কারো কারো রয়েছে উন্নত দেশে বিলাশবহুল বাড়ি, গাড়ি এবং বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। আর আমাদের দেশের মানুষ উন্নয়নের গল্প শুনছে, ফাঁসিতে ঝুলছে, গুম, খুনের স্বীকার হচ্ছে, নারীরা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে, মানুষ অধ্যাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছে, ঋণে দায়ে জর্জরিত হয়ে  আত্মহত্যা করছে।

চেতনা ব্যাবসায়ীরা আমাদেরকে স্বাধীনতার চেতনা দিয়ে, নিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। তাই তারা স্বাধীনভাবে লু্টপাট, গুম খুন করেই যাচ্ছে, বেহায়া, নির্লজ্জের মতো উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছেন। সাধারন মানুষকে দমিয়ে রাখছেন। সাধারন মানুষের দূর্দশার কথা অস্বীকার করে বলছেন। আজ আর দেশে কোন অভাব নেই, সবাই খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। জিনিস পত্রের দাম যতোই বাড়ুক কেউ কিন্তু না খেয়ে মরছে না।

যেখানে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই, আদালতে বিচার নেই, বিচার চাইলে নিকৃষ্টভাবে ভেংচি কাটা হয়। যেখানে মানবধিকার লঙ্ঘিত, সেখানে কিসের স্বাধীনতা, কিসের স্বাধীনতার চেতনা। তাই আসুন আমরা একাত্তবের মতো দল মত নির্বিশেষে সবাই এক হই, এক কন্ঠে বলি আমরা স্বাধীনতার চেতনা নয় আমরা আমাদের স্বাধীনতা চাই।

২২ নভেম্বর, ২০২১

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস

ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার সময়ের উপযোগী  আবিষ্কার হল কম্পিউটার। বর্তমানে কম্পিউটারের নানাবিধ ব্যাবহার হলেও এর শুরুটা হয়েছিল একটি গণনা যন্ত্র হিসেবে। কম্পিউটার (Computer) শব্দটি গ্রিক "কম্পিউট" (compute)শব্দ থেকে এসেছে। Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (Computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কালেব বিবর্তনে কম্পিউটারের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে, এবং এর বহুমুখী ব্যবহার বা ব্যাবহার কারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা ব্যাবস্থা, ব্যাবসা বানিয্য, তথ্য প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গবেষণার কাজে কম্পিউটার ব্যাবহার হচ্ছে। যা আমাদের দৈনিন্দন জীবনের কঠিন কাজগুলোকে করেছে সহজ, আমাদের জীবনকে করেছে গতিশীল।

ইতিহাসঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার তৈরির ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালের মানুষ একসময় সংখ্যা গণনা করতে ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়।এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গণনা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।

অ্যাবাকাস (Abacus)

১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি অথবা দন্ড ব্যবহার করেন। এসব দন্ড জন নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত। ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। ১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের পরিমার্জন করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)

উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)। এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারণা লাভ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই তিনি শেষ করতে পারেননি। 

অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন

কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার (এনিয়াক)

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। তখন থেকে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি। আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কমপ্যাটিবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় এ ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একই সময় আই.বি.এম কোম্পানির পাশাপাশি অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেট (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। কিন্তু অ্যাপল কোম্পানি তাদের কমপ্যাটিবল কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে কোনোরূপ উদারতা প্রদর্শন না করায় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য থেকে যায় অত্যধিক বেশি, যার ফলে অ্যাপল তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি। তবে বিশেষ ধরনের কিছু ব্যবহারিক সুবিধার কারণে মূলত মুদ্রণ শিল্পে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো।

পার্সোনাল কম্পিউটার

প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন, প্রসার এবং কল্যানে। কম্পিউটারের সহজলোভ্যতার কারনে আমরা সকলেই কম্পিউটার ব্যাবহার করে থাকি। কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জটিল কাজ সহজে করতে পারি। কাজ করার পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও কম্পিউটারের ভূমিকা কম নয়। বর্তমানে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা কমবেশি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কম্পিউটার ব্যাবহার করি বা কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে থাকি। এ কথা বলা চলে যে কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন অসম্ভব।

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি আনলে প্রতিরোধের ঘোষণা



মিরপুর শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে পাকিস্তানিদের পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়। সকল বিতর্কের মুখে মাটি দিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একি? সেখানে পাকিস্তানিদের সাপোর্ট করেন বাংলাদেশি দর্শক এবং পাকিস্তানি পতাকা উড়ালেন বাংলাদেশের জনগণ।

এ নিয়ে ক্ষোভ বাংলাদেশি কিছু ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদের। মাশরাফি বিন মর্তুজা আক্ষেপ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে গতকাল লেখেন, ‘খেলার সাথে কোনো কিছু মেলানো যায় না এটা ঠিক, কিন্তু খেলাটা যখন আমাদের দেশে আর খেলছে আমাদের দেশ, সেখানে অন্য যে দেশই খেলুক না কেন, তাদের পতাকা তাদের দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ উড়াবে, এটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। যে যাই বলুক, ভাই দেশটা কিন্তু আপনার।’

এখানেই শেষ নয় নতুন করে উৎপত্তি হলো বা জানান দিলো ‘পাকিস্তানী দালাল রুখবে তারুণ্য’ নামের একটি সংগঠন। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের কেউ পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে আসলে এবং পাকিস্তানের জার্সি পরে আসলে তা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে ্এই সংগঠন।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের আগে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মিরপুরে তারা অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হামজা রহমান অন্তর।

তিনি জানান, ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষাধিক মা-বোনের আর্তনাদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার শত্রু যারা আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি, ক্ষতিপূরণ দেয়নি, যারা আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে তাদের হয়ে এদেশীয় দালাল গোষ্ঠীকে ৭১ এর মতোই প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।

যেখানে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভূট্টো খাঁনকে আমন্ত্রণ করে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। সেখানে এরা পাকিস্তানি জার্সি এবং পতাকা প্রতিরোধ নিয়ে ব্যাস্ত। স্বাধীনতা যুদ্ধ কি শুধুমাত্র পতাকার জন্য হয়েছিলো? না কি গনতন্ত্র, মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য হয়েছিলো। যতি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের এই প্রতিরোধ কি স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত হবেনা।

ইতোপূর্বে এমন আরো কিছু সংঘটন আমরা দেখেছি যাদের কোন বৈধতা নেই। যারা জনগনের অধিকার আদায়ে লক্ষে কাজ করে এই ধরনের দলগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য এই সংগঠন গুলো কাজ করে। আদৌ তাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে সম্পর্ক রয়েছে কি না? তা নিয়ে নেই কোনো তদন্ত বা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনি এবং সরকারী দলের মাথা ব্যাথা। তবুও এই সংগঠন গুলো হামলা মামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যে কারনে এই সংগঠনগুলোকে সরকারি সন্ত্রাসী বাহীনি বা সংগঠন বললে ভুল হবে বলে আমি মনেকরি না।
বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা

বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা

বাংলাদেশের মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উড়লো পাকিস্তানের পতাকা


মিরপুর শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের মতো অনুশীলন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে অনুশীলন নয় আলোচিত হচ্ছে তাদের পতাকা উড়ানো নিয়ে। যা সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবং বিতর্কিত হচ্ছে বাংলাদেশের কিছু বিতর্কিত দেশপ্রেমিকের কাছে। 

এ নিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, পাকিস্তানীদের এই ঔদ্ধত্যের কারণও আছে। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল; জামায়াত ইসলামী এবং তাদের সহযোগীরা এখনও আছে। তরুণদের মধ্যে তাদের একটা বিরাট প্রভাব আছে। পাকিস্তানের প্রেম আছে। সুতরাং আমি মনে করি, পাকিস্তানকে এব্যাপারে কোয়েশ্চেন করতে হবে, কৈফিয়ত চাইতে হবে এবং তাদের এই ঔদ্ধত্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাদের ক্রিকেট টিমের এই দেশে খেলবার কোনো দরকার নেই। 

আইসিসির নিয়মানুসারে কোনো ইভেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলাকালীন দুই দেশের পতাকা উড়তেই পারে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুশীলনেই সেটা কেন উড়াতে হবে? তা নিয়েই অনেকেরই একটু বেশিই মাথা ব্যথা। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনভর আলোচনা চললেও তাদের এমন কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস। 

ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’ 

বিশ্বকাপে আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি ছিল পাকিস্তানের। নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিরিজ পাকিস্তানে গিয়েই সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা। এই সিরিজেই পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন সাকলায়েন মুশতাক। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে অনুশীলনে জাতীয় পতাকা রাখেন। 

এতো কিছুর পরও পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে কেউ ক্ষমাও চাননি এবং কোনো প্রকার দুঃখ প্রকাশ করেন নাই। তবুও তারা বাংলাদেশের মাটিতে খেলেন। এবং বাংলাদেশি মানুষের প্রচুর সমর্থন পান। মিরপুরের গ্যালারিতে পাকিস্তানি দর্শকদের পাশাপাশি বাংলাদেশি দর্শকদের হাতেও পাকিস্তানি পতাকা দেখা গেছে।

যদিও খেলাধুলা একটি ভিন্ন ব্যাপার, খেলাধুলার জয় পরাজয় দেশের স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবুও অনেকেই দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে স্বাধীনতার শত্রু বলে আখ্যায়িত করে অন্যায় অত্যাচার করে নিজেদের সার্থ রক্ষা করেন এবং দমন পীড়ন চালিয়ে যান। 

বর্তমান বাংলাদেশের বিপরীতে পাকিস্তানের বিতর্কিত ম্যাচে বাংলাদেশি দর্শকদের পাকিস্তানিদের এমন সমর্থন ক্রিকেট বোর্ডের অনিয়ম দূর্নীতি, ভোট বিহীন নির্বাচন, অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের উপর জনগণের ক্ষোভ বা অসন্তোষের কারণ বলে আমি মনেকরি।

২০ নভেম্বর, ২০২১

ইসলাম, বিজ্ঞান ও ভ্রান্ত ধারণা

ইসলাম, বিজ্ঞান ও ভ্রান্ত ধারণা

ইসলাম, বিজ্ঞান ও ভ্রান্ত ধারণা


বিজ্ঞান যা মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন বা সহজ করেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের চলার পথে প্রতিটি কাজে কমবেশি জেনে বুঝে বা না জেনে না বুঝে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করি।

বিজ্ঞান নিয়ে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যেমন অনেকে মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ধারণাটি সম্পূর্ণ  ভুল, কারণ বিজ্ঞান কোরআনের একটি অংশ। কোরআন হলো পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান এবং পথ প্রদর্শক। কিছু মুসলমানের ধারণা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আধুনিকতা মানুষের ইমান নষ্ট করে মানুষকে কাফির বা নাস্তিকে পরিণত করে। 

এই ভুল ধারনা থেকে আমরা মুসলমানরা বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, ফলে আমরা বিধর্মীদের থেকে পিছিয়ে পরছি এবং তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। তারা সহযোগীতার নামে অথবা সহযোগীতা করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে এবং আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

বিজ্ঞান এবং কোরআনের জ্ঞান কখনোইে একে অপরের সাংঘর্ষিক নয়। বিজ্ঞান চর্চা এবং তার সঠিক ব্যাবহার মানুষের কল্যাণ এবং ইসলামের আলো প্রতিটি স্থানের কোনায় কোনায় দ্রুত ছড়িযে দিতে পারে। মুসলমানদের ভুল ধারনা এবং অবহেলার কারনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন ইযাহুদী খ্রিষ্টানদের হাতে। তাই বিজ্ঞানের ব্যাবহার এখন বিপরীতে।

আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা এবং বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রায় মুসলমান বিজ্ঞানীদের ভুমিকা এবং গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যেমনঃ  রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস সর্বত্র ছিল তাদের অগ্রণী পদচারণা। বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। সেসব আবিষ্কার ও গবেষণার আধুনিকরণ ঘটেছে, তার সুফল ভোগ করছে আজকের বিশ্ববাসী।

ক্যামেরা: প্রাচীন গ্রীকরা মনে করতো যে, আমাদের চোখে লেজার রশ্মির মতো আলোকরেখা রয়েছে। যা আমাদের দেখতে সাহায্য করে। দশম শতাব্দীতে মুসলিম গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী ইবনে আল-হাইতাম সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন যে, চোখ থেকে যতোটা আলো বেরোয় তার চেয়ে বেশি আলো চোখে প্রবেশ করে। আলো উইন্ডো শাটারের মাধ্যমে একটি বিন্দুতে প্রবেশ করতে পারে, এটি বুঝতে পারার পর তিনি প্রথম পিনহোল ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। আল-হাইতাম বুঝতে পারেন যে, বিন্দু যতো ছোট হবে ছবি ততো ভালো হবে। এ উপলব্ধি থেকে তিনি প্রথম অবসকিউরা (ডার্করুম) স্থাপন করেন। একটি পরীক্ষণের মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার দার্শনিক রূপ তুলে ধরার জন্য তিনি বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী।

রসায়ন শাস্ত্র: ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইসলামের সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান ডিস্টিলেশন অর্থাৎ সিদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরল পদার্থের একটিকে আরেকটি থেকে পৃথক করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। জাবিরই অনেক মৌলিক প্রক্রিয়া ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে আলকেমিকে কেমিস্ট্রি বা রসায়ন শাস্ত্রে রূপ দেন। তার আবিষ্কৃত তরলীকরণ, স্ফটিকীকরণ, সিদ্ধকরণ, শুদ্ধকরণ, অক্সিজেনের সাথে যুক্তকরণ, বাষ্পীভবন ও ফিল্টারেশন প্রক্রিয়া এখনো বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করা হয়। সালফিউরিক ও নাইট্রিক অ্যাসিড আবিষ্কারের পাশাপাশি তিনি চোলাইযন্ত্র আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে বিশ্বের সর্বত্র তৈরি হচ্ছে গাঢ় গোলাপ জল, বিভিন্ন সুগন্ধি দ্রব্যাদি ও অ্যালকোহল (যদিও ইসলাম ধর্মে এটি হারাম)। জাবির ইবনে হাইয়ান সঠিক প্রক্রিয়া অনুসারে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতেন। রসায়ন শাস্ত্রের জনক হিসেবে তার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।

রকেট: বারুদ তৈরিতে ব্যবহৃত নোনতা গানপাউডার চীনারা আবিষ্কার করে আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু আরবরা সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য গানপাউডার বিশুদ্ধকরণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছিল। ক্রুসেড যুদ্ধে মুসলিমদের আবিষ্কৃত আগ্নেয়াস্ত্র প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতির সঞ্চার করে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে মুসলিমরা রকেট (যাকে তারা বলতো স্বয়ংক্রিয় দাহ্য ডিম) এবং টর্পেডো (নাশপাতি সদৃশ সম্মুখে অগ্রসরমান বোমা, যার অগ্রভাগ ছিল বর্শার মতো) আবিষ্কার করে। টর্পেডো শত্রুজাহাজকে ধ্বংস করে অদৃশ্য হয়ে যেতো।

চিকিৎসা সরঞ্জাম: আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে অপারেশন করার জন্য যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, তার অনেকগুলোই দশম শতাব্দীতে মুসলিম শল্যবিদ আল-জাওয়াহিরির উদ্ভাবিত দ্রব্যাদির মতো। তার উদ্ভাবিত হালকা ছুরি, অস্থি কাটার ছুরি, ছোট সাঁড়াশি, চোখের অপারেশনে ব্যবহৃত সূক্ষ্ম কাঁচিসহ ২০০ প্রকার শল্যচিকিৎসার যন্ত্রপাতি আধুনিক যুগের যে কোন শল্যবিদের অতি পরিচিত জিনিস। তিনিই প্রাকৃতিকভাবে অদৃশ্য হয়, এমন সুতা আবিষ্কার করেন। যা অপারেশনের পর সেলাইয়ের জন্য সার্জনরা ব্যবহার করে থাকেন। ক্যাপসুল তৈরির জন্যও এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া উইলিয়াম হার্ভে রক্ত পরিসঞ্চালন পদ্ধতি আবিষ্কারের ৩০০ বছর আগেই ইবনে নাফিস নামে এক মুসলিম মেডিকেল ছাত্র এ প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, আফিম ও অ্যালকোহলের মিশ্রণের মাধ্যমে যে চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়, তা-ও আবিষ্কার করেন মুসলিম চিকিৎসকরা। তারা নীডলেরও উন্নতি সাধন করেন, যা ছোখের ছানি অপসারণে আজও ব্যবহৃত হচ্ছে।

এছাড়াও মুসলমানদের আরো অনেক বিষ্ময়কর আবিষ্কার রয়েছে যা আমাদের জীবনকে করেছেন সহজ আনন্দময় যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি। বা যার প্রভাব আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমরা তার কল্যাণ বা সুফল এখনো ভোগ করে যাচ্ছি।

১৮ নভেম্বর, ২০২১

Bangladesh Railway Job Circular - 2021

Bangladesh Railway Job Circular - 2021

বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকুরির বিজ্ঞপ্তি - ২০২১


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ের মার্কেটিং ও কর্পোরেট প্লানিং বিভাগ হতে ১৪ নভেম্বর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে পয়েন্টসম্যান ( গ্রেড-১৮ ) পদবীতে ৭৬২ টি শূন্য আসনে যোগ্য কিছু জনবল প্রয়োজন। HSC অথবা HSC সমমানের ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি সকল নাগরিক উক্ত পদবীর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।

আবেদন শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২১ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন নোটিশটি পড়ুন এবং আগ্রহী প্রার্থীগন আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ http://br.teletalk.com.bd



১৭ নভেম্বর, ২০২১

যে ভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই বড়লোক হচ্ছি

যে ভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই বড়লোক হচ্ছি

যে ভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই বড়লোক হচ্ছি


অর্থনীতি শাস্ত্র একটু বেশিই জটিল, এখানে বিভিন্ন পরিভাষা এবং নিয়ম নীতি রয়েছে। যা একজন অর্থনীতিবিদ সবচেয়ে ভালো বোঝেন। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরাও কম নয়, সাদা কালো উপার্যনের অগাধ অর্থ হিসাব করতে করতে তারাও এখন অর্থনীতিবিদ। কজন অর্থনীতিবিদ নিজের টাকার হিসাব করে এবং সেগুলো লোকচক্ষুর আড়ালে নিরাপদে রাখতে পারে।

এখন অর্থনীতি এবং অর্থনীতিবিদের সংগা পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে যারা জনগনের ধন সম্পদ লুটেপুটে যারা ধনসম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন তারাই বড় অর্থনীতিবিদ। তাদের কাছে অর্থনীতির উন্নয়ন জনগনের কল্পনাতীত। অর্থনীতির এ উন্নয়ন আজ দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের অর্থ। সেখানে গড়ে উঠছে বিলাশবহুল হোটেল এবং বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।

সামগ্রীক বিষয়টি বিবেচনা করা হলে বাংলাদেশর অর্থনীতির উন্নয়ন এবং প্রসার ঘটেছে। যার প্রভাব আমাদের মাথাপিছু আয়েব মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় হলো আমাদের মোট আয়ের গড়, যা আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন প্রকাশ করলেও জনগন তার ফল তখনি ভোগ করবে যখন অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধ এবং বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে।

অর্থনীতিবিদ দের মতে অর্থনীতিঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য বা সেবা উৎপাদন করে, তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিএনপি বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন বা আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বা আয় অন্তর্ভুক্ত হবে।

রাজনীতিবিদ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মতেঃ আমাদের মাথাপিছু আয় বড়েছে। আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শনৈ শনৈ বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাত পোহালেই আয় বাড়ছে বাংলাদেশের, আমরা টেরই পাচ্ছি না। আমরা অজান্তেই বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘তবে বড়লোকের বড়লোকি কিছু রোগও হয়, সেই রোগ থেকে যেন আমরা মুক্ত থাকি।

সাধারণত মানুষ বড়ো লোক হয়ে পেটে ক্ষুধা নিয়ে ধনসম্পদ খুজছেন। এটা গরীবের বড়লোকি রোগ। আর কেউ কেউ টাকার এবং ক্ষমতার দাপটে কুলাঙ্গারের মতো যা খুশি করছে এবং গাজাখুরি বক্তব্য দিচ্ছে। এটা হলো কিছু কিছু রাজনীতিবিদ দের উন্নয়ন।

আমাদের দেশে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, এটি একটি স্বংয়সম্পূর্ন দেশ। দেশের সম্পদ এবং জনশক্তির সঠিক ব্যবহার আমাদের সত্যিকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বাদ দিতে পারে। কিন্তু কিছু অসৎ দুর্নীতিবাজ অমানুষ এই সম্পদ নিজেরা লুটপাট করে খাচ্ছে বাকিটা বিদেশে পাচার করছে। জনগণকে তাদের দূর দশার কথা বলার সুযোগ না দিয়ে জনগণকে নামে বড়লোক বানিয়ে দিচ্ছেন। আর কেউ যদি দূর দশার কথা জানিয়ে সরকারের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে, তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অমানবিক নির্যাতন এবং শাস্তি প্রদান করছেন।

কেউ নিরবে অধ্যাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, কেউ প্রতিবাদ করে খুন হচ্ছেন, কেউবা নিজে নিজেই আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই। রাজনীতিবিদগণ জনগণের টাকায় পেট ভরিয়ে মনের সুখে উন্নয়নের গান গাচ্ছেন আর বিদেশে টাকা পাচার করছেন।

যাইহোক সামান্য ইউপি নির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচুর পরিমাণে আসন দখল করার পরেও ৭০-৮০ জনের বেশি মানুষের জীবন যাওয়া সেটা সাধারণ ঝগড়া ঝাটি। বড়ো মনমানসিকতা এবং উন্নয়নশীল দেশ ছাড়া এটা কখনো হতে পারে না।

১৬ নভেম্বর, ২০২১

PSC নন-ক্যাডার চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি ২০২১

PSC নন-ক্যাডার চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি ২০২১

PSC নন-ক্যাডার চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি ২০২১

বাংলাদেশ কর্ম কমিশন সচিবালয় থেকে ১০ কার্তিক ১৪২৮ ইংরেজীর ২৬ অক্টোবর ২০২১ bpsc নন ক্যাডার চাকুরীর ৮০-১৪৭ টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।২৮ অক্টোবর ২০২১ থেকে ২৫ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীর যোগ্যতা হিসেবে অবশ্যই BSC বা যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ব বিদ্যালয় হতে কৃতকার্য হতে হবে। অতবা ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স complet থাকতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীগন এই লিংকে http://bpsc.teletalk.com.bd/ncad/apply.php ক্লিক করে সার্কুলার নং ৮০ থেকে ১৪৭ নাম্বার সিলেক্ট করে আপনার পছন্দের পদবীর জন্য আবেদন করুন। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন নোটিশ টি পড়ুন।

১০ নভেম্বর, ২০২১

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-৩

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-৩

টাকলা বিরোধী প্রতিবাদ-৩


এই পোস্টটিতে অসামাজিক ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে। তাই নিজ দায়িত্বে পড়বেন। না পড়লে এড়িয়ে যাবেন। দয়াকরে বিরূপ মন্তব্য এবং পরবর্তী ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করবেন না।

ডা. মুরাদ বা টাকলা মুরাদ যাকে দেখলে ইচ্ছা করে ওর টাক জুতা দিয়ে পিটিয়ে ফাটিয়ে ফেলি। হ্যাঁ আমি জঙ্গি হ্যাঁ আমি মৌলবাদী, কারণ ইসলামের অপমান, নবীর অপমান আমি সহ্য করতে পারিনা।

এই টাকলা মুরাদ ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে। আবার বলে আমি ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিনি, বলতে পারিনা। আমার কথায় সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে যারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে তারা।

আমি আবারো ভাষা খারাপ করতে বাধ্য হচ্ছি এই টাকলা তোরা কি মুখ লুকিয়ে গুয়া এগিয়ে দিয়ে মজানিস, কে তোদের চুদছে তার খোঁজ নেয়ার কি কোনো প্রয়োজন মনে করিস না? তোর ইসলাম বিরোধী কথার একমাত্র দরবেশ সুমন ছাড়া বাংলাদেশের আর কি কেউ তোকে সমর্থন করেছিলো?

টাকলা তুই আবারো বলেছিস এই দেশের মালিক শেখ মুজিব, এই দেশের মালিক শেখ হাসিনা। এইটা কোন সংবিধানে লেখা আছে, তোর কোন বাপ তোকে এই শিক্ষা দিয়েছে। তোর কথায় কি আমরা বুঝে নিব একটি ছেলে একটি মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে যেমন সন্তানের জন্ম হয়, তেমন করে একাত্তরে শেখ মুজিবকে পশ্চিম পাকিস্তানে তুলে নিয়ে গুয়া মারার ফলে কি বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।

এই টাকলা ধর্ম কারা বেচে খায়, তোরা কেনো ইসলাম বিরোধী কথা বলিস, তা কি জনগণ জানে না? ইসলাম ধর্মকে বিধর্মীদের কাছে ছোটো করে তোমরা নিজেদের পকেট ভরাও তা কি আমরা জানি না। এই বিষয় না হয় বাদই দিলাম, তোমরা কি জিয়া বিমানবন্দরকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বানাও নি?

প্রয়োজনে তোমরা সবই পারো হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গতে, মুসলমানদের জঙ্গি সাজাতে। তোমরা কোনো ধর্মের নয়, কোনো জাতির নয় তোমরা সমগ্র মানবজাতির শত্রু।

টাকলা তোমার কাছে প্রশ্ন

কেনো ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবেনা রাজনীতি কি নাপাক বা হারাম কোনো কিছু, নাকি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলে জনগণের জান মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় না?

কেনো রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা যাবেনা, দেশে কি বেশ্যাবৃত্তি, গুম, ঘুন, ধর্ষণ, সুদ, ঘুষ বৈধ করতে চাও? যে দেশে জনসংখ্যার বেশির ভাগ মুসলিম সে দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না হলেও, আওয়ামীলীগে যে পরিমাণে ইসলাম বিরোধীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ কিন্তু ঠিকই ইসলাম বিরোধী দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

কেনো সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা যাবেনা, সংবিধান কি কোনো চটি গল্পের বই?

তোমার বাবা আসলে কে? শেখ মুজিব নাকি অন্য কেউ জাতির কাছে স্পষ্ট বলো। আর তোমরা বাবা যদি একজন হয় তাহলে পোস্টটি তোমার কাছে পৌছালে অবশ্যই উত্তর গুলো দিবা।

০৯ নভেম্বর, ২০২১

আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে

আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে

আলেম ওলামারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, না কি মানুষের অবৈধ উপার্জন রোধ করে?



কিছু দুর্নীতি গ্রস্ত অমানুষ, আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে আলেম ওলামারা টুপি পড়ে দাড়ি রেখে ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে। এখানে নবীর সুন্নতকে অবমাননা করা হয়েছে। এবং দাড়ি রাখতে এবং টুপি পড়তে মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আর ধর্ম ব্যাবসার কথা বলে ইসলাম ধর্মের চর্চা এবং ইসলামকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ধর্ম ব্যাবসা বলতে তারা মনে করেন মুসলমানদের কাছ থেকে দুই, এক টাকা করে সংগ্রহ করে নামাজ পড়ানোর জন্য ইমামকে হাদিয়া প্রদান করা। সোজা কথায় নামাজ পড়িয়ে ইমাম সাহেব যে উপার্জন করে। মোক্তব, মাদ্রাসা, ইয়াতিম খানা এবং সকল মুসলমানদের দ্বীনের শিক্ষা দিয়ে আলেম ওলামারা যে উপার্জন করেন তাই ধর্ম ব্যাবসা।

আসলেই কি তাই? স্কুল কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক রা কি বেতন নেয় না? অবশ্যই নেয়, তাহলে কি তারা শিক্ষা ব্যাবসায়ী? বিচারপতি আইনের ধারা অনুযায়ী বিচার করে তার পারিশ্রমিক কি নেন না? অবশ্যই নেন, তাহলে কি তিনি আইন ব্যবসায়ী? আর আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের মিথ্যা বুলি এরিয়ে জনগণের টাকায় খাচ্ছেন, এবং বিদেশে টাকা পাচার করছেন, আপনি নিশ্চয়ই গনতন্ত্র ব্যাবসায়ী।

আলেম ওলামারা যাকাত ফেতরা, দান ছদগা করতে বলে এইটাই কি তাদের অপরাধ। আচ্ছা কোন আলেম বিদেশে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তার কি কোনো নজির আছে? কিন্তু আপনাদের আওয়ামীলীগের একজন পাতি নেতারো দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার নজির আছে।

এতো কিছু থাকতে আওয়ামীলীগ কেন ইসলাম ধর্মের এবং আলেম ওলামাদের পিছনে পড়ে থাকে তার কারণ হলো, ইসলাম সাম্যতার কথা বলে, ধনী-গরীব, সবল দূর্বল সকলের অধিকার নিশ্চিত করে। আর আলেম ওলামা ঘুস, চাদাবাজি, জুলুম কারীদের কোরআন হাদিসের আলোকে ভয়াবহ দুরসংবাদ প্রদান করেন। দ্বীনের পথে ফিরে আসার আহবান জানান। এতে তাদের উপার্জন কমে যায়, এবং পদে পদে বাধাগ্রস্ত হন। তাই তারা আলেম ওলামা এবং মুসলমানদের তাদের পথের কাঁটা এবং সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করেন।

আপনারা (আওয়ামীলীগ/ইসলাম বিরোধীরা) নিজেরা যেমন, সবাইকে তাই মনে করেন। যার কুফল শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ভোগ করতে হয়। জনগণ তা বুঝে।